• রোববার , ১৭ নভেম্বর ২০২৪

আরো ২ জঙ্গির লাশ মিলল আতিয়া মহলে


প্রকাশিত: ৯:৫৩ পিএম, ৩ এপ্রিল ১৭ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪১ বার

সিলেট প্রতিনিধি  :  নগরীর শিববাড়ির আতিয়া মহলে সেনাবাহিনী পরিচালিত “অপারেশন syl_atia_mahal-www.jatirkhantha.com.bd2 las-atiamohal-www.jatirkhantha.com.bdটোয়াইলাইট” শেষ হওয়ার ৬ দিন পর সোমবার দুপুরে বোমা নিষ্ক্রিয় করা ও ভিতরে থাকা দুই জঙ্গির মৃতদেহ উদ্ধার অভিযান শুরু করে র‌্যাব। আজ বিকেলে লাশ দু’টি উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মোগলাবাজার থানার ওসি খায়রুল ফজল জানান, লাশ দু’টি উদ্ধারের পর সেগুলো সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হবে। এর আগে সোমবার সকালে আতিয়া মহলে যায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। দুপুর সোয়া ১টার দিকে র‌্যাবের বোমা বিশেষজ্ঞ দল বোমা নিষ্ক্রিয়করণের কাজ শুরু করে। এরপর বিকেলে বের করে আনা হয় দুই জঙ্গির লাশ।

আতিয়া মহলে সেনাবাহিনীর পরিচালিত ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ নামক অভিযানে নিহত হয় মোট ৪ জঙ্গি, যাদের মধ্যে ছিল ১ নারী ও ৩ পুরুষ জঙ্গি। নারীসহ আরেক জঙ্গির লাশ আগে উদ্ধার করা হলেও অপর দুই জঙ্গির লাশ উদ্ধার করা যায়নি। সেনাবাহিনীর অভিযান শেষে আতিয়া মহল পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর বোমা বিশেষজ্ঞ দল এসে ভবনটির ভেতর ও আশপাশ পরীক্ষার পর লাশ দু’টি  উদ্ধার করা হবে বলে জানানো হয় তখন।

গত ২৪ মার্চ আতিয়া মহলের একটি ফ্ল্যাটে জঙ্গি অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তা ঘিরে রাখে পুলিশ। পরে প্রথমে সেখানে সোয়াট ও পরে সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। টানা চার দিন ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ নামক অভিযান শেষে গত ২৮ মার্চ এ ভবনের ভেতরে চার জঙ্গির লাশ পাওয়া যায়। সেদিনই অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে সেনাবাহিনী। তবে আতিয়া মহলের ভেতরে আরো বোমা থাকার আশঙ্কার কথা জানান তারা।

এদিকে সন্ধ্যা ৬টায় আতিয়া মহলের পাশে র‌্যাবের একটি অস্থায়ী ক্যাম্পে রবিবার থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান সম্পর্কে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের ব্রিফ করে র‌্যাব-৯। র‌্যাব-৯ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমদ বলেন, শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে সোমবার দুপুর ১২টা থেকে আতিয়া মহলে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়করণ ও মৃত দুটি দেহ উদ্ধারে কাজ শুরু করে র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। এই স্কোয়াডের নেতৃত্ব দেন লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আরিফুল ইসলাম মাহমুদ।

আতিয়া মহল অভিযানের পরপরই মৌলভীবাজারে দুটি ও কুমিল্লায় একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করার কারণে আতিয়া মহলে কার্যক্রম শুরু করতে দেরী হয় বলে তিনি জানান ।