• রোববার , ১৯ মে ২০২৪

আদালতে কাবিনানামা-বরের স্বাক্ষী ছাড়াই বিয়ে হয়েছে মাহিয়া-শাওনের


প্রকাশিত: ৭:৪৪ পিএম, ৩১ মে ১৬ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৩০ বার

বিশেষ প্রতিনিধি  :    আজ মঙ্গলবার আদালতে দাখিল করা হয় মাহি শাওনের কাবিননামা। আদালতে বিয়ের কাবিননামা দাখিল করেছেন মাহির কথিত স্বামী শাহরিয়ার শাওন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে কাবিননামা পেশ করেন তিনি। একথা জানিয়েছেন শাওনের আইনজীবী এডভোকেট বিল্লাল হোসেন।
১২
আদালতে দাখিল করা  শাওন-মাহিয়া’র কাবিন নামা থেকে প্রাপ্ত সূত্র মতে দেখা গেছে, মাহি শাওনের বিয়ের কথাবার্তা ঠিক হয় ১৫/৫/২০১৫। কথাবার্তা ঠিক হওয়ার ১০ দিন পর বিয়ে সম্পন্ন হয়।  বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে প-১৩ দক্ষিণ বাড্ডায়।এই ঠিকানায় শাওনের বাসা। তখন বরের বয়স ছিল ১৫/০২/১৯৯৪। বিয়ে রেজিষ্ট্র করেন বাড্ডা কাজি মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন। বিয়েতে বরের স্বাক্ষীর কলাম ফাঁকা ছিল।বরের  কোন স্বাক্ষীর উল্লেখ নেই কাবিন নামায়।

বিয়ের দেনমোহর ছিল ৪ লাখ টাকা। বিয়ের রেজিষ্টার নম্বর-১৮৬/১৫-এ,ভলিউম নম্বর-৬৫-তারিখ ২৫/৫/২০১৫ইং। কাবিননামার তথ্য মতে, কনের নাম শারমিন আক্তার নিপা ওরফে মাহিয়া, পিতা আবু বকর সিদ্দিক খোকন, মাতা দিলারা ইয়াসমীন, ঠিকানা-বাড়ি নম্বর-২২, রোড নম্বর-১১,সেক্টর-৯, উত্তরা,ঢাকা। বিয়ের সময় কন্যার বয়স উল্লেখ ছিল-২৭/১০/৯৪। এ হিসেবে বরের চেয়ে কনে ৮ মাসের বড়।

কাবিনানামায় বর কর্তৃক কোন উকিল বা স্বাক্ষী নিযুক্ত হওয়ার তথ্য নেই। তবে কন্যার উকিল ছিল-মোঃ হারুন অর রশিদ, পিতা আব্দুর রব, প-১৩, দক্ষিণ বাড্ডা, গুলশান, বাড্ডা। কনের ২ নম্বর স্বাক্ষী ছিল মোঃ নুরুল ইসলাম, পিতা গোলাম গাউস, পিরোজপুর,গোদাগাড়ি,রাজশাহী।কনের ৩ নম্বর স্বাক্ষী ছিল মোঃ ইউসুফ আলী, পিতা আব্দুর রব, সাং-খ-৮৩,দক্ষিণ বাড্ডা,ঢাকা।

আদালত সূত্র জাতিরকন্ঠকে জানায়,  গত রবিবার চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির এই কথিত স্বামী শাওনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এরপর তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে শাওন জানিয়েছেন মাহির সঙ্গে তার পরিচয় স্কুলজীবন থেকে। তারা উত্তরায় একই স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। মাহির সঙ্গে তার প্রেম ছিল বলেও দাবি করেছেন শাওন।

উল্লেখ্য, গত ২২ মে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকার ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে মাহির বিয়ে হয়। এরপর থেকে ওই যুবক ক্ষুব্ধ হন। তিনি মাহিকে স্ত্রী দাবি করে তার সঙ্গে তোলা অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এরপর মাহি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।