• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

অ্যাঞ্জেলিনা জোলির কম্বোডিয়া ‘জাগরণ’


প্রকাশিত: ১২:২৬ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ১৭ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫০ বার

ডেস্ক রিপোর্টার :  বিশেষ সাক্ষাৎকারে হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি- বিবিসিকে বলেন,  কম্বোডিয়া তার জন্য 11জেগে ওঠার মত ঘটনা ছিল। জোলির নতুন সিনেমা ‘ফার্স্ট দে কিল্ড মাই ফাদার’ প্রদর্শনের পূর্বে বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি কম্বোডিয়া নিয়ে তার আবেগ-অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

124‘ফার্স্ট দে কিল্ড মাই ফাদার’ ছবিটি অ্যাঞ্জেলিনা জোলি নিজেই পরিচালনা করেছেন। তার প্রত্যাশা— ছবিটি ওই সময়ের মানসিক পীড়ন সম্পর্কে খোলাখুলি আলোচনা করতে কম্বোডিয়ার মানুষকে সাহায্য করবে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার বিশেষ দূত জোলি প্রথম কম্বোডিয়া সফর করেন ২০০১ সালে। সে সময় ‘লারা ক্রফ্ট: টুম্ব রেইডার’ সিনেমার শুটিং করেন দেশটিতে। পরে সেখান থেকেই প্রথম সন্তান ম্যাডক্সকে দত্তক নেন তিনি। বিবিসির ইয়ালদা হাকিমের সঙ্গে আলাপকালে জোলি বলেন, ‘আমি এই দেশে এসে এখানকার মানুষের প্রেমে পড়ে যাই। দেশটির ইতিহাস সম্পর্কে জানার পর আমার মনে হয়েছিল এই বিশ্ব সম্পর্কে আমি কত কম জানি।’
125
‘এই দেশটি আমার জন্য জাগরণ’, বলছিলেন জোলি। তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় এই দেশটির কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। আমার মনে হয় না দেশটি আমাকে যা দিয়েছে তার সমপরিমাণ আমি ফেরত দিতে পারবো।’

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রাড পিটের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর এই প্রথম জনসম্মুখে এলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। এই বিষয়ে বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘এটা ছিল খুব কঠিন।’২০০৪ সাল থেকে জোলি এবং পিট একসঙ্গে থাকতেন কিন্তু বিয়ে করেন ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে।

জোলি বলেন, ‘আমার পুরো পরিবার কঠিন সময়ের ভেতর দিয়ে গেছে। আমার লক্ষ্য আমার সন্তানেরা, আমাদের সন্তানেরা। আমরা সব সময় একটা পরিবারের মতই থাকবো।’ কম্বোডিয়ার অ্যাংকর ওয়াট টেম্পল কমপ্লেক্স শনিবার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের আয়োজন করে ছবিটির পরিবেশনা সংস্থা নেটফ্লিক্স। চলতি বছরেই ছবিটি মুক্তি পাবে।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলির কম্বোডিয়া ‘জাগরণ’
জোলি এবং তার ছয় সন্তান ছিলেন প্রিমিয়ার শোতে- ইপিএ জোলি এবং তার ছয় সন্তান ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন কম্বোডিয়ার রাজা নরোডম শিহামনি। তিনি ২০০৫ সালে এই অভিনেত্রীকে কম্বোডিয়ার নাগরিকত্ব দেন।

‘যুদ্ধ সম্পর্কে বলতে সাহায্য করবে’

‘ফার্স্ট দে কিল্ড মাই ফাদার’ ছবিটি নির্মিত হয়েছে লুং ইয়ং নামে লেখকের একই নামের একটি বই এর গল্পের ওপর ভিত্তি করে। ছবিটিতে কম্বোডিয়ার খেমার রুজ যুদ্ধের গণহত্যার বর্ণনা করেছেন একজন শিশু। একজনের জীবনের সত্য কাহিনীর ওপর নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। ধারণা করা হয়, ওই যুদ্ধে ২০ লাখ মানুষ নিহত হয়।

জোলি বলেন, ‘যুদ্ধটি হয়েছে ৪০ বছর আগে। সেই সময় মানুষদের সঙ্গে আসলে কী হয়েছিল সেটা সঠিকভাবে বোঝা যায়নি। আমি আশা করছি, সিনেমাটি দেশটির মানুষকে যুদ্ধ সম্পর্কে কথা বলতে সাহায্য করবে। কারণ অনেক বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি আছেন যারা তাদের সন্তানদের সেই গল্পগুলো বলেন না,” বলছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।