• মঙ্গলবার , ৩০ এপ্রিল ২০২৪

অরাজক পরিস্থিতি যাতে না হয় ভাস্কর্য নিয়ে : আইনমন্ত্রী


প্রকাশিত: ১১:০৬ পিএম, ২৫ এপ্রিল ১৭ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৭ বার

বিশেষ প্রতিনিধি  :  আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের ভাস্কর্য সরানো হবে কি না 000সেই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান বিচারপতি। এটিকে কেন্দ্র করে যেন উচ্চ আদালতের পবিত্রতা কলুষিত না হয় ও অরাজক পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে বিষয়টি বিবেচনায় নিতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (জেটিআই) ‘ইন্টারন্যাশনাল লেবার স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড লেবার লেজিসলেশন ফর জাজেস অ্যান্ড জুডিশিয়াল অফিসার্স’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ও জেটিআইয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে বিচারক ও বিচার বিভাগের ৩০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণটি প্রধান বিচারপতির। এখানে এই ভাস্কর্য যখন বসানো হয়েছিল, তখনো তাঁদের (আইন মন্ত্রণালয়) জিজ্ঞাসা করা হয়নি। আর এই ভাস্কর্য ওঠানোর বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান বিচারপতি। মন্ত্রী বলেন, এই ভাস্কর্য স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে কিছু দ্বিধাদ্বন্দ্ব উঠেছে। সুপ্রিম কোর্ট অত্যন্ত পবিত্র স্থান। এটাকে কেন্দ্র করে যেন এর পবিত্রতা নষ্ট না হয়, এখানে যাতে কোনো অরাজক পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেটা সবার বিবেচনা করা উচিত।

উল্লেখ্য, এই ভাস্কর্য সরানোর দাবি জানিয়ে আসছে হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ইসলাম ধর্মভিত্তিক সংগঠন। গত কিছুদিন ধরে এই ভাস্কর্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডকে আমৃত্যু কারাদণ্ড বিবেচনা করে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় পড়ে কয়েক দিনের মধ্যে সে বিষয়ে কথা বলবেন।

অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, শ্রমজীবী মানুষের আইনি সেবাপ্রাপ্তি সহজ করার লক্ষ্যে ঢাকায় বিদ্যমান তিনটি শ্রম আদালতের মধ্যে দুটি শ্রম ঘন এলাকা টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জে স্থানান্তর করা হবে। এ ছাড়া সিলেট ও রংপুরে দুটি নতুন শ্রম আদালত স্থাপন করা হবে।

বিচার প্রশাসন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, আইনসচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন, আইএলওর এ দেশীয় পরিচালক শ্রীনিবাসন বি রেড্ডি প্রমুখ।