• সোমবার , ১৩ মে ২০২৪

অবরোধ জালাও পোড়াও দায়ে- পাকরাও হচ্ছেন খালেদা জিয়া!সারাদেশে কম্বিং অপারেশন !


প্রকাশিত: ৯:৩৮ এএম, ১৯ জানুয়ারী ১৫ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯১ বার

প্রিয়া রহমান.ঢাকা: অবরোধ জালাও পোড়াও দায়ে- পাকরাও হচ্ছেন খালেদা জিয়া!দেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালাও পোড়াও, বোমা হামলাসহ নাশকতামূলক কার্যক্রম সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ না করলে তা যে বেড়ে যাবে। তা ইতোমধ্যে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায় এনে সরকার সহিংসতা দমনে কঠোর পথে যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সারাদেশে কম্বিং অপারেশন চলতে পারে আজ। জিরো টলারেন্সে বিএনপি চেয়াপারসনের বিরুদ্ধে বর্তমানে চলতে থাকা জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চেরিট্যাবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাও দ্রুত শেষ করার কথা ভাবা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ মামলার সব আইনি দিক খতিয়ে দেখতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীও ঘোষণা দিয়েছেন, দেশের মাটিতে কোনো ধরনের সন্ত্রাস বরদাস্ত করা হবে না। এ ব্যাপারে তিনি গোয়েন্দা সংস্থাসমূহকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রদান করেছেন গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে। বলেছেন, এ দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র নস্যাত করে দেওয়া হবে।

সহিংসতা বন্ধ না হলে আটক হবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আগামী ২২ জানুয়ারির পর যে কোনো সময় তাকে আটক করা হতে পারে। বর্তমান সহিংস পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সরকার হার্ডলাইনে থাকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) গ্রেফতার হলেও দলের চেইন অব কমান্ড অনুযায়ী সাংগঠনিক কর্মকা- চলবে। দলের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা হবে। তবে সরকার যদি মনে করে, বেগম জিয়াকে গ্রেফতার করলেই আন্দোলন ভেস্তে যাবে, এটা ভুল সিদ্ধান্ত। আন্দোলন পর্যায়ক্রমে আরও কঠোরতার দিকেই যাবে।’

সে অনুযায়ী আজ থেকে দেশব্যাপী যৌথবাহিনীর অভিযানে তালিকা অনুযায়ী আটক করা হবে মাঠে সক্রিয় বিএনপি-জামায়াত নেতাদের। পাশাপাশি ২০ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় নেতাদেরও পৃথক তালিকা করা হয়েছে। তালিকা ধরে ধরে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে সরকার। জিরো টলারেন্সে থেকেই পরিস্থিতি সামাল দিতে বাস্তবায়িত হবে সরকারের সব সিদ্ধান্ত। তবে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হলে খালেদা জিয়াকে আটকের এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে সরকার।

khalada jia-www.jatirkhantha.com.bdসরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগরকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। ঢাকায় বিএনপি সমর্থক বেশির ভাগ কাউন্সিলর আটক হতে পারেন। এ জন্য গুলশান, লালবাগ, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর ও মিরপুরের কয়েকজন কাউন্সিলরের অবস্থান নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। ঢাকায় যৌথ অভিযানের প্রথম পর্যায়েই তারা আটক হবেন।

এদিকে, বিএনপি চেয়াপারসনের বিরুদ্ধে বর্তমানে চলতে থাকা জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চেরিট্যাবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাও দ্রুত শেষ করার কথা ভাবা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ মামলার সব আইনি দিক খতিয়ে দেখতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে গ্রেফতার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হলেও এ মুহূর্তে সারা দেশ অচল, জ্বালাও-পোড়াও এবং পুড়িয়ে মানুষ মারার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হতে পারেন বেগম খালেদা জিয়া।

এ প্রসঙ্গে  স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল  বলেছেন, সাতদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। জনজীবন স্বাভাবিক ধারায় চলে আসবে।

অন্যদিকে, বিএনপির নীতি-নির্ধারক সূত্রগুলো বলছে, যেকোনো পরিস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়ার গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কা বিএনপিতেও আছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই আন্দোলন কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। কোনো কারণে খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে পরে কারা দলীয় কার্যক্রমের নির্দেশনার দায়িত্বে থাকবেন সংশ্লিষ্টদের এরই মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রয়োজনীয় বার্তাও বেগম জিয়া পাঠিয়েছেন। দলের প্রবীণ একাধিক নেতার সঙ্গে এ নিয়ে তার কথাবার্তা হয়েছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতারা গ্রেফতার হলে ‘চেইন অব কমান্ড’ ধরে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপি প্রধান। সিনিয়র নেতারা গ্রেফতার হলে মধ্যম সারির নেতারা মূল নেতৃত্বে চলে আসবেন। আবার মধ্যম সারির নেতারা গ্রেফতার হলে জুনিয়র ও তৃণমূল নেতারাই দলের হাল ধরবেন।