• বুধবার , ১৩ নভেম্বর ২০২৪

বাজেটে মেয়াদোত্তীর্ণ ৩০৮ প্রকল্প


প্রকাশিত: ১:৪৪ এএম, ২ জুন ১৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৭৯ বার

আসন্ন ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটের এডিপিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ৩ শতাধিক প্রকল্পের বোজা বর্তাচ্ছে। সরকারকে এসব প্রকল্পের ঘানি টানতে হবে। অনুমোদিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) এবং কারিগরি প্রকল্প প্রস্তাব (টিপিপি) অনুযায়ী এসব প্রকল্প চলতি অর্থবছরের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা হচ্ছে না। ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ ৩০৮টি প্রকল্প তারকা চিহ্ন দিয়ে নতুন এডিপিতে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। আর প্রকল্পগুলোর মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া অর্থছাড় কিংবা খরচ করা যাবে না বলেও পরিকল্পনা কমিশন নির্দেশণা দিয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। আসন্ন ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দসহ মোট ১ হাজার ১৮৭টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ৮৭৯টি, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১৩৪টি, জাপানি ঋণ মওকুফ সহায়তা তহবিলের ২১টি এবং সংস্থা বা কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নের ১৫৩টি প্রকল্প রয়েছে। সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নের বাইরে আগামী অর্থবছরের এডিপিতে একেবারেই নতুন প্রকল্প যুক্ত হচ্ছে ২৯টি। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ২৪টি এবং কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ৫টি। তাছাড়া বরাদ্দহীনভাবে সংযুক্ত অননুমোদিত সবুজ পাতায় প্রকল্পের সংখ্যা হচ্ছে ৬৮১টি। আর বৈদেশিক সহায়তা প্রাপ্তির সুবিধার্থে অনুমোদনহীন প্রকল্প থাকছে ২৭৬টি। চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের এডিপিতে মোট প্রকল্প ছিল ১ হাজার ১৭৬টি। এর মধ্যে বরাদ্দসহ অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পের সংখ্যা ১ হাজার ৪৬টি। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ৮৮৭টি, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১২৯টি, জেডিসিএফ প্রকল্প ৩০টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অর্থায়নের প্রকল্প ১৩০টি। তবে বরাদ্দসহ প্রকল্পের মধ্যে নতুন অনুমোদিত প্রকল্প ছিল ৫০টি। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ৩৪টি আর কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের সংখ্যা ১৬টি।  আসন্ন বাজেটের এডিপিতে ৩২৪টি প্রকল্প সমাপ্তির ল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ২৮৫টি, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ৩০টি এবং জেডিসিএফ প্রকল্প ৯টি। চলতি অর্থবছরের এডিপিতে সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত ছিল ৩০৫টি প্রকল্প। তাছাড়া পাবলিক-প্রাইবেট পার্টনারশিপের প্রকল্প হিসাবে থাকছে ১৭টি প্রকল্প। আর চলতি অর্থবছরে পিপিপির লিংক প্রকল্প হিসাবে যুক্ত ছিল ৪৪টি প্রকল্প। নতুন অর্থবছরের জন্য বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটি এডিপির আকার নির্ধারণ করেছে ৭৯ হাজার ৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে পরিবহন খাত। যা মোট এডিপির ২২ দশমিক ৯০ শতাংশ। এ খাতের আওতায় পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে ৮ হাজার ১শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। যা চলমান প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। আর শিার প্রসার ও গুণগত মান বাড়াতে শিা ও ধর্ম খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মোট ৯ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা মোট এডিপির ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ। তৃতীয় অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে। এ খাতে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ৯ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা। অন্যান্য খাত অর্থাৎ ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন খাতে ৭ হাজার ৮৭৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। যা মোট এডিপির ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আর গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনতে ও অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির ল্েয পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে ৬ হাজার ৮৭১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। যা এডিপির মোট বরাদ্দের ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ।  তাছাড়া ২০১৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পগুলো শেষ না হওয়ার বিষয়টিও এক ধরনের ব্যত্যয়। কারণ কেন প্রকল্পগুলো ল্যমাত্রা অনুযায়ী শেষ হলো না তা খতিয়ে দেখা উচিত। যদিও প্রকল্প শেষ না হওয়ার অনেক যৌক্তিক কারণও থাকতে পারে, আবার অযৌক্তিক কারণও থাকতে পারে। এেেত্র অর্থবছরের শুরুতেই প্রকৃত কারণগুলো খুঁজে বের করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। এজন্য বিশেষ করে সচিবদের সাথে বৈঠক করা দরকার। ওই বৈঠকে কেন প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ হয় না, তাদের সীমাবদ্ধতা কতটুকু এসব বিষয়ে আলোচনা হরে এক ধরনের জবাবদিহিতা তৈরি হয়। তখন প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি আসবে।