• বুধবার , ১৩ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ ভবিষ্যতে যুদ্ধবিমান তৈরি করবে-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


প্রকাশিত: ১০:০১ পিএম, ২৭ মে ১৫ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২১১ বার

স্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা:   বাংলাদেশ ভবিষ্যতে যুদ্ধবিমান তৈরি করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার তেজগাঁওয়ে বিমান বাহিনী ঘাঁটি pm-air-up-www.jatirkhantha.com.bdবাশার-এ এল-৪১০ পরিবহন প্রশিক্ষণ বিমানের অন্তর্ভুক্তি অনুষ্ঠানে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে অধিকতর শক্তিশালী করতে এবং বাহিনীর আধুনিকায়নে তাঁর সরকার সর্বোচ্চ প্রয়াস রাখবে।
শেখ হাসিনা বলেন, শিগগিরই রাশিয়া থেকে লোন প্রোটোকলের আওতায় ওয়াই এ কে-১৩০ অ্যাডভান্সড জেট ট্রেইনার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে রাশিয়া থেকে তিনটি এমআই-১৭১ এস এইচ হেলিকপ্টার কেনা হয়েছে। একই প্রোটোকলের আওতায় সম্প্রতি আরও পাঁচটি এমআই-১৭১ এস এইচ হেলিকপ্টারের মধ্যে চারটির অন্তর্ভুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই আরেকটি অন্তর্ভুক্ত হবে। এ ছাড়া একটি এমআই-১৭১-ই হেলিকপ্টার কেনার বিষয় প্রক্রিয়াধীন হয়েছে। পাশাপাশি সামুদ্রিক অনুসন্ধান এবং উদ্ধার কর্মকাণ্ড গতিশীল করতে বিমান বাহিনীতে দুটি আগাস্তা ওয়েস্ট ল্যান্ড হেলিকপ্টার সংযোজিত হতে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণ ও এই বাহিনীর উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বিমান বাহিনীকে আরও আধুনিকায়নের মাধ্যমে কৌশলগত দিক থেকে একটি সুদৃঢ়, শক্তিশালী ও কার্যকর বাহিনী হিসাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব, ইনশা আল্লাহ।’
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থল পৌঁছালে বিমান বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তাঁকে গার্ড-অব-অনার প্রদান করে। তিনি অভিবাদন গ্রহণ করেন এবং উইং কমান্ডার রাশেদ আহমেদ সিদ্দিকের হাতে অন্তর্ভুক্তি আদেশ তুলে দেন। পরে তিনি চেক প্রজাতন্ত্রের তৈরি তিনটি নতুন এল-৪১০ পরিবহন প্রশিক্ষণ বিমানের অন্তর্ভুক্তি উপলক্ষে কেক কাটেন এবং একটিতে আরোহণ করে এর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মুহাম্মাদ ইনামুল বারী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভূঁইয়া, সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে পৌঁছালে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মুহাম্মাদ ইনামুল বারী ও বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার-এর এয়ার অফিসার্স কমান্ডিং এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসান তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার কক্সবাজারে একটি পূর্ণাঙ্গ বিমান ঘাঁটি ও বিমান প্রতিরক্ষা রাডার প্রতিষ্ঠা করেছে। এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের আকাশ সীমা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে এটি স্থাপন করা প্রয়োজন ছিল। শেখ হাসিনা আরও বলেন, পাহাড়কাঞ্চনপুরে বিমান ঘাঁটিতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রাডার স্থাপন করা হয়েছে এবং সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল ককপিটসহ বিভিন্ন ট্রেনিং এয়ারক্রাফট ক্রয় করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, নতুন তিনটি এয়ারক্রাফট অন্তর্ভুক্তির ফলে বিমান বাহিনীর উদ্ধার অভিযান, আকাশ পথে টহল ও জরিপ এবং প্যারাট্রুপিংসহ বিমান বাহিনীর সার্বিক পরিবহন ক্ষমতা আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাবে।
প্রধানমন্ত্রী এল-৪১০ বিমান উড্ডয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে বিমান বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।