• বৃহস্পতিবার , ৭ নভেম্বর ২০২৪

জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই চলছে


প্রকাশিত: ৬:৩৫ পিএম, ১৯ এপ্রিল ১৪ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৭ বার

 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট: ১৮:১৮, এপ্রিল ১৯, ২০১৪
 জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে দাখিল করা মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত প্রতিবেদন যাচাইবাছাই চলছে। সংগঠনটির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন যাচাইবাছাই শেষে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তৈরি করা হবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন দলের অন্যতম সদস্য রানা দাসগুপ্ত বাসসকে এ কথা জানান।
প্রসিকিউশন দলের আরেক সদস্য তুরিন আফরোজ বলেন, জামায়াতের বিচার করার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের দায়ে পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয় কোনো সংগঠনের বিচারের নজির সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ন্যুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালে হিটলারের দল নািসর বিচারের পর বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনালে প্রথমবারের মতো কোনো সংগঠনের বিচার করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে নয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সংগঠন হিসেবে জামায়াতকে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে।
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান জানান, জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে ৩৭৩ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পাশাপাশি সাত খণ্ডে দুই হাজার ৩০৩ পৃষ্ঠার জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণপত্র, ১০ খণ্ডে তিন হাজার ৭৬১ পৃষ্ঠার অন্যান্য নথি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আগের দেওয়া রায় ও জামায়াতের বিরুদ্ধে পর্যবেক্ষণ, দুই শতাধিক বইপত্র, ম্যাগাজিন ও গবেষণাপত্রও জমা দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আরও জানান, প্রতিবেদনে জামায়াত ও এর সব অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ ও অবলুপ্তির আরজি জানানো হয়েছে। জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয় নথিভুক্ত করে গত বছরের ১৮ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মতিউর রহমান দীর্ঘ সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। গত ২৭ মার্চ তিনি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান বলেন, তদন্তের ভিত্তিতে জামায়াতের বিরুদ্ধে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, জেনেভা কনভেনশন ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনসহ সাত ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে সাক্ষী করা হয়েছে ৭০ জনকে।
গত বছরের ১ আগস্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। সেই অনুযায়ী নিবন্ধিত দলের তালিকা থেকে জামায়াতকে বাদ দেয় নির্বাচন কমিশন।