• শনিবার , ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

চাল সিন্ডিকেটর রশিদ পাকড়াও


প্রকাশিত: ১:৪৩ এএম, ১৭ নভেম্বর ২৪ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৯ বার

 

এই সেই রশিদ যিনি ফেসিস্ট হাসিনা সরকারের মন্ত্রী কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল। তবে বর্তমানে সে গ্রেফতার হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেযার মামলায়।

 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : অবশেষে চাল সিন্ডিকেটর রশিদ পাকড়াও হয়েছে। এই সেই রশিদ যিনি ফেসিস্ট হাসিনা সরকারের মন্ত্রী কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল। তবে বর্তমানে সে গ্রেফতার হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেযার মামলায়। জানা গেছে, দেশের বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরের রশিদ এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের মালিক আব্দুর রশিদ ওরফে চাল রশিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকার একটি গলি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজশাহীর ইনাম ফিড মিলের মালিক আতিকুর রহমানের দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব। আব্দুর রশিদ ওরফে চাল রশিদ দেশের অন্যতম শীর্ষ চাল ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি। তিনি দেশের চাল সিন্ডিকেটের মূলহোতা। তার ইশারায় দেশে চালের দাম উঠানামা করত। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে আদালতে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৬৪ হাজার ৮৬৭ টাকা আত্মসাতের মামলা করেন রাজশাহীর আতিকুর। মামলায় আতিকুর রহমান উল্লেখ করেন, আব্দুর রশিদ তার ব্যাংক হিসাবে আমার কাছ থেকে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৬৪ হাজার ৮৬৭ টাকা অগ্রিম নিয়ে মৎস্য খাদ্যের কাঁচামাল কিংবা টাকা কোনোটাই দিচ্ছেন না।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। কুষ্টিয়া মডেল থানা ওসি দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে সিআর ৬৪৩/২৩ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন তিনি। আব্দুর রশিদ এবং তার পরিবারের সদস্যদর বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির দায়ে আদালতে ৬৮টি মামলা করেছে সোনালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংকসহ দেশের বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এর পর থেকেই তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপনে ছিলেন।