• বৃহস্পতিবার , ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

অনৈতিক কাজ করলে রেহাই নেই-দুদক চেয়ারম্যান


প্রকাশিত: ৭:৪৪ পিএম, ১৮ জানুয়ারী ১৭ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭১ বার

 

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের dঅনৈতিক আয় না করার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ । আজ বুধবার ঢাকায় রাজস্ব ভবনের সম্মেলনকক্ষে এনবিআর আয়োজিত ‘শুদ্ধাচার ও নৈতিকতা বিষয়ক’ সেমিনারে ইকবাল মাহমুদ এ কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই দুই সংস্থার কোনো কর্মকর্তা যদি অনৈতিক আয় করে আটক বা গ্রেপ্তার হন, তাহলে কষ্ট পাই। জনগণের করের টাকায় আপনারা বেতন পান। এনবিআর রাষ্ট্রের রক্ত। তাই দুদক ও এনবিআরের কর্মকর্তাদের মধ্যে যদি অনৈতিকতা থাকে, তবে সেটা দেশের জন্য মারাত্মক সমস্যা।’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক ও এনবিআরের অনেক কর্মকর্তার সম্পর্কে মানুষের খারাপ ধারণা আছে। এখন সময় সত্য বলার। তাই এ ধারণা থেকে মানুষকে বের করে নিয়ে আসার দায়িত্ব কর্মকর্তাদেরই পালন করতে হবে। আমলাতন্ত্র দুর্নীতিমুক্ত থাকলে দেশে দুর্নীতি দ্রুত রোধ করা সম্ভব হয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষেত্রে স্মার্ট, সে জন্য তাঁরা অনেক সময় কর ফাঁকি দিতে পারেন। এনবিআর কর্মকর্তাদের তাঁদের মতো স্মার্ট হতে হবে। এ জন্য এনবিআরের পদ্ধতিগত ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

দুর্নীতি নির্মূলে রাজস্ব কর্মকর্তাদের দুদককে সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দুদকপ্রধান বলেন, ‘টাকা বাতাসে উড়ে বেড়ায়। জুয়ার টাকা কোথা থেকে আসে। নিজেরা সতর্ক হই। সময় এসেছে আর কাউকে ছাড় না দেওয়ার। অবৈধ আয় যাতে কেউ করতে না পারে, সে জন্য এনবিআরের সহযোগিতা চাই, উদ্যোগ চাই, কর্মদক্ষতার উন্নয়ন চাই।’

দুর্নীতি রোধে সম্পদের সঠিক হিসাব পাওয়া অতীব জরুরি উল্লেখ করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘এনবিআরের কারণে সম্পদের হিসাব নিতে পারছি না। কারণ করের কোনো ভিত্তি পাচ্ছি না। এনবিআর কর্মকর্তারা ট্যাক্স সনদ দিচ্ছেন। আবার আমাকে জিজ্ঞাসা করতে হচ্ছে, এর উৎস কী। এ প্রশ্ন করতে চাই না। দুই সংস্থার দুই রকম নিয়ম। তাই করের সঠিক ভিত্তি ধরে সম্পদের হিসাব জানা জরুরি।’

কালো টাকা জমি ক্রয়ে চলে যাচ্ছে এমন অভিযোগ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘গুলশানে ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি দুই কোটি টাকায় রেজিস্ট্রেশন হয়। অথচ ধরা যাচ্ছে না। প্রত্যেক নাগরিক এনবিআরে সঠিকভাবে ট্যাক্স ফাইল জমা দিলে সম্পত্তি ও অর্থের উৎস জানতে পারব। এনবিআর জিজ্ঞাসা করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘এ দেশে এত লোক। আমাদের ট্যাক্স ভুটান ও নেপালের চেয়ে কম, এটা লজ্জার বিষয়। আমাদের তো সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। দেশের জন্য করযোগ্য সবারই কর দেওয়া নৈতিক দায়িত্ব।’ তিনি দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ট্যাক্স ফাইল থাকার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।

ইকবাল মাহমুদ এনবিআরকে দেশের ধনী-গরিবের এবং গ্রাম-শহরের বৈষম্য কমানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এসব বৈষম্য রাষ্ট্রের জন্য বড় সমস্যা। এই বড় সমস্যা সমাধানে সঠিকভাবে কর আদায়ের মাধ্যমে এনবিআরকেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।’ তিনি বলেন, অনেকে লেক্সাস ও বিএমডব্লিউ গাড়ি চালান কিন্তু ট্যাক্স দেন মাত্র এক-দুই লাখ টাকা। এটা হতেই পারে না।