• শনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪

জান্নাত-জাহান্নামের অস্তিত্বে আমার কোনো বিশ্বাস নেই-তসলিমা নাসরিন


প্রকাশিত: ২:২৭ পিএম, ৩১ মে ১৫ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৫৯ বার

taslima nasrin-www.jatirkhantha.com.bdদৈনিক এতেমাদ অবলম্বনে নীপা খন্দকার.ঢাকা:  নির্বাসিত লেখিকাতসলিমা নাসরিন বলেছেন, জান্নাত জাহান্নামের অস্তিত্বে আমার কোনো বিশ্বাস নেই তসলিমা নাসরিন বলেছেন, জান্নাত জাহান্নামের অস্তিত্বে আমার কোনো বিশ্বাস নেই। মানবধর্মই আমার একমাত্র ধর্ম। ছোটবেলায় আমি সকল ধর্মগ্রন্থ পড়েছি। কোরআন, বেদ, গীতা ইত্যাদি ধর্মগ্রন্থ পড়ে পড়ে বড় হয়েছি। যার কারণে কোনো ধর্মেই আমার বিশ্বাস নেই। আমি মানুষের জন্যই কাজ করছি। সমতা, ইনসাফ, সত্য বলা, নিজের অধিকার আদায়ে লড়াই করা আমার জীবনের দর্শন।

একটি হিন্দি দৈনিকের সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। রবিবার তার সাক্ষাৎকারের সারাংশটি প্রকাশ করেছে ভারতের উর্দু দৈনিক এতেমাদ।

হিন্দি দৈনিকটির পক্ষ থেকে তসলিমা নাসরিনকে প্রশ্ন করা হয়, আপনার জীবনে ধর্মের মূল্যায়ণ কি? উত্তরে তসলিমা নাসরিন বলেন, আমি কোনো ধর্মকেই বিশ্বাস করি না। ধর্ম বলতে কোনো কিছু নেই।

তসলিমা বলেন, কিছু মানুষ সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আমার বিরোধিতা করে। তারাই যখন আমার বই পড়ে সম্পূর্ণ বদলে যায়। বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের অনেক মানুষ আমাকে বলেছে, আপনার লেখা আমার জীবনকে পরিবর্তন করে দিয়েছে।

তসলিমা নাসরিন বলেন, আমার মিশন মহিলাদের অধিকার আদায় করা। পুরুষশাসিত সমাজে মহিলারা নির্যাতিত। তবে নির্যাতনের মাত্রা সম্প্রতি কিছুটা কমে এসেছে। আমার কথাগুলো হিন্দিতে লিখতে চাই কিন্তু হিন্দি না বুঝার কারণে লিখেতে পারছি না।

উর্দু দৈনিকটিতে তসলিমা নাসরিনকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলা হয়, ধর্মবিরোধী উপন্যাস লেখার কারণে তসলিমা নাসরিনকে নির্বাসিত করা হয়। ১৯৯৩ সালে তার ‘লজ্জা’ নামক উপন্যাসের কারণে শরিয়া আদালতে তাকে হত্যার রায় দেয়া হয়। যদিও বাংলাদেশের কোন শরিয়া আইনে তাকে হত্যার রায় দেয়নি। তবে সে সময় ইসলামপন্থীরা তার মাথার মূল্য ঘোষণা করে।