• শনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪

আমির খান কেন সমকামিতার পক্ষে


প্রকাশিত: ৩:৩৩ পিএম, ২৫ মে ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৬৪ বার

মিরা নায়ার   :   ভারতে সমকামিতা অবৈধ বলে রায় দেয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বলিউড am-isnতারকারা৷ তাঁরা মনে করেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে, যা মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন৷

হলিউড তারকা এং মানবাধিকার কর্মী মিয়া ফারোও বলিউড তারকারদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আদালতের রায়ের সমালোচনা করেছেন৷ রায় ঘোষণার দিনটিকে তিনি ভারতের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের আলোকে ‘‘একটি কালো দিন” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন৷এক বিবৃতিকে বলিউড তারকা আমির খান জানিয়েছেন, ‘‘আমি এই রায়ে অত্যন্ত হতাশ৷ এটা অগ্রহণযোগ্য এবং মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন৷”

অভিনেতা জন আব্রাহাম টুইটারে লিখেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট সমকামিতাকে অপরাধ বলছে… এটা লজ্জার কথা৷” চলচ্চিত্র নির্মাতা অনির – যিনি সমকামীদের অধিকারের দাবিতে সোচ্চার – জানিয়েছেন, ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এটা একটি কালো দিন হয়ে থাকবে৷

1
সমকামিতার বিষয়টি নিয়ে গোটা বিশ্বে বিতর্ক রয়েছে

প্রসঙ্গত, সমকামিতার বিষয়টি নিয়ে গোটা বিশ্বে বিতর্ক রয়েছে৷ নেদারল্যান্ডস হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম দেশ যেখানে সমলিঙ্গের মধ্যে বিয়ে বৈধ ঘোষণা করা হয়৷ ২০০১ সালের এপ্রিল থেকে সেদেশে এটি কার্যকর আছে৷ ২০০৩ সালের জুন মাসে নেদারল্যান্ডসের প্রতিবেশী দেশ বেলজিয়ামে সমলিঙ্গের মধ্যে বিবাহ বৈধ করা হয়৷ অন্যদিকে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইওয়াহানা সিগুরডোটির এবং তাঁর সঙ্গিনী ইওহিনা লিওসডোটির সমকামীদের বিয়ে বৈধ ঘোষণার পর প্রথমেই সেই সুযোগ নিয়েছেন৷ সিগুরডোটির হচ্ছেন পৃথিবীর প্রথম মেয়ে সমকামী রাষ্ট্রপ্রধান৷

২০০১ সাল থেকে সমলিঙ্গ যুগলের বিয়ের রেজিস্ট্রেশন বৈধ করেছে জার্মানি৷ এই প্রক্রিয়ায় জার্মানিতে বিয়ের সুযোগ সুবিধার অনেকটাই পান সমকামীরা৷ কিন্তু যৌথভাবে সন্তান দত্তক নেওয়া কিংবা পূর্ণ আয়কর সুবিধা এখনো পায় না সমকামী দম্পতিরা৷ চলতি বছরের জানুয়ারিতে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, জার্মানির ৬৬ শতাংশ জনসাধারণই সমকামীদের মধ্যে বিয়ের পক্ষে৷

1বাংলাদেশে দুই তরুণীর মধ্যে মালাবদল
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে বাংলাদেশে দুই তরুণীর মধ্যে মালাবদল নিয়ে সৃষ্টি হয় ব্যাপক বিতর্ক৷ ২১ বছর বয়সি শিক্ষিকা সানজিদা আর তাঁর ছাত্রী, ১৬ বছর বয়সি শ্রাবন্তী রায়ের মধ্যকার প্রেমের সম্পর্ক মোটেই স্বাভাবিকভাবে নেয়নি সমাজ৷ এমনকি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েও রেহাই পাননি তারা৷