শেখ হাসিনা সরকারে সম্পর্ক উন্নয়নে পলক হাস বৈঠক

বরফ গলেছে যুক্তরাষ্ট্রের-

হাসের এই সম্পর্ক উন্নয়ন নয়া শেখ হাসিনা সরকারের গোবরে পদ্মফুল হয়ে অপার সম্ভাবণাময় হয়ে উঠেছে।

শফিক রহমান : অবশেষে নানা মুনির নানা মতকে ঝেটিয়ে বিদায় করে এবং সরকার বিরোধী অপ-তৎপরতাকারীদের মুখে ছাই দিয়ে পিটার হাস এগিয়ে এলেন শেখ হাসিনার নয়া সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে। তিনি কথা বললেন শেখ হাসিনার বলিষ্ট কন্ঠস্বর সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম উদ্যোক্তা ডাক, টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে।

হাসের এই সম্পর্ক উন্নয়ন নতুন সরকারের প্রতি আমেরিকান সরকারের ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবীরা। ধরে নেয়া যায় হাসের এই সম্পর্ক উন্নয়ন নয়া শেখ হাসিনা সরকারের গোবরে পদ্মফুল হয়ে অপার সম্ভাবণাময় হয়ে উঠেছে।

সুতরাং শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে বরফ গলেছে যুক্তরাষ্ট্রের। যার প্রেক্ষাপটে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্যে কাজ শুরু করেছেন বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। একথা বলাই বাহুল্য যে, আমেরিকান সরকারের শীর্ষ মহলের নির্দেশনা না পেয়ে নিশ্চয়ই মাঠে নামেননি বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।

কারণ, এই পিটার হাসকে ভোটের আগের কয়েক মাস অন্য মূর্তিতে দেখা গিয়েছিল। সেই হাস এখন যখন সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছেন তখন বুঝে নিতে হবে বরফ গলেছে। যারা এখনও বোকার স্বর্গে বাস করছেন তাদের উচিত দেশ গড়তে শেখ হাসিনার দেশকে ভালবাসার রাজনীতি, উন্নয়নের রাজনীতি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রাজনীতি এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে পড়াশোনা শুরু করে দেয়া!

আর এই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে আমেরিকা বাংলাদেশকে কিভাবে সহযোগীতা করতে পারবে সেটা নিয়েই বিশেষ বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। আজ মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারী তিনি ডাক, টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে এ বিশেষ বৈঠক করেছেন। দুপুরে সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে তারা এ বৈঠক করেন। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া সাইবার নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পলক বলেন, নতুন সরকারের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে ব্যবসা নিয়ে কথা বলা মানে, দুই দেশের সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে। সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত ও ঘনিষ্ঠ হবে।

এছাড়া কীভাবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র জ্ঞানভিত্তিক অংশীদার হতে পারে তা নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।পলক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রধান উন্নয়ন সহযোগী দেশ। দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় অনেক বিষয় জড়িত। আমাদের সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।