গাড়ির বদলে চলবে ‘চলন্ত রাস্তা’
স্টাফ রিপোর্টার : গাড়ির বদলে চলবে রাস্তা। ওই রাস্তাই হবে যাত্রীদের যানবাহন। এর নাম ‘চলন্ত রাস্তা’। এতে চড়েই গন্তব্যে যাবেন যাত্রীরা।শনিবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এ চলন্ত রাস্তার পদ্ধতিগত ও কারিগরি ধারণা উপস্থাপন করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা আবু সাইয়ীদ।
তিনি বলেন, নতুন এ ধারণা বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জপূর্ণ তবে সম্ভব। মাত্র দুই থেকে তিন বছরেই এ চলন্ত রাস্তা নির্মাণ করা যায়।
ঢাকা ও আশপাশের এলাকার ৪০০ কিলোমিটার চলন্ত সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা। চলন্ত সড়কে ৪০ কিলোমিটার গতিতে যাত্রীরা গন্তব্যে যেতে পারবেন।ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে অতীতে কাজের কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও নতুন এ ধারণাপত্র বাস্তবায়ন করা হলে পাঁচটি সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানান আবু সাইয়ীদ। সেগুলো হচ্ছে যানজটমুক্ত অবস্থায় গন্তব্যে যাওয়া যাবে। এর বাস্তবায়ন খরচ কম এবং বাংলাদেশের কারিগরি দক্ষতায় বাস্তবায়ন সম্ভব।
পরিবহন খাতের সার্বিক ব্যয় ৫০ শতাংশ কমে আসবে। কমবে জ্বালানি খরচ ও পরিবেশ দূষণ।নতুন ধারণাপত্র উপস্থাপন উপলক্ষে শনিবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করেন আবু সাইয়ীদ। আলোচনা করেন পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক প্রকৌশলী সুলতান আহমেদ, বিআরটিসির সাবেক পরিচালক (টেকনিক্যাল) কেএস ফিরোজ, তড়িৎ প্রকৌশলী জহির আহমেদসহ অন্যরা।
ধারণাপত্রে বলা হয়, চলন্ত রাস্তা সড়কের মাঝ বরাবর এবং রাস্তার দুই পাশে স্থাপন করা যাবে। রাস্তার মাঝ বরাবর এ চলন্ত সড়ক নির্মাণে ৩২-৪৪ ফুট জায়গার প্রয়োজন হবে। রাস্তার মাঝে ডিভাইডার বরাবর ৮ ফুট জায়গা প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এর দুই পাশে প্রতি লেইনের জন্য ৬ ফুট করে জায়গা চলন্ত রাস্তার জন্য বরাদ্দ থাকবে।
এটি দুই বা তিন লেনের রাস্তা হতে পারে। অপর পদ্ধতি হচ্ছে, রাস্তার দুই পাশে ১০ ফুট ওপরে চলন্ত রাস্তা স্থাপন করা যেতে পারে। বাকি রাস্তায় বর্তমান নিয়মের মতোই গাড়ি চলাচল করবে। অর্থাৎ একই সড়কে দুই দিকে চলন্ত রাস্তা থাকবে এবং বাকি অংশে গাড়ি চলাচল করবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তা বিবেচনায় এনে ছোট-বড় বিভিন্ন দৈর্ঘ্যরে আনুমানিক ৪০০ কিমি. চলন্ত রাস্তা তৈরি করলেই ঢাকা শহরের ভেতর সব স্থানেই যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।কোথাও কোথাও একটি রাস্তা অন্য রাস্তাকে ক্রস করলেও কোথাও একাধিক রাস্তা একাধিক ইউ লুপ তৈরি করে অন্য রুটের সঙ্গে যুক্ত হবে না। এক রাস্তা থেকে অন্য রাস্তায় যাওয়ার জন্য যাত্রীকেই রাস্তা পরিবর্তন করতে হবে।
একেকটি রুটের জন্য একটি করে চলন্ত রাস্তা নির্মাণ করতে হবে যারা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকবে। কিন্তু প্রতিটি প্লাটফর্ম একে অপরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। এক প্লাটফর্ম থেকে যাত্রীরা সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারবে।চন্দ্রা, জয়দেবপুর, শনির আখড়া থেকে এবং ঢাকা শহরের ভেতরের বিভিন্ন অংশে ইকোনমি মানের ৪০০ কিমি. চলন্ত রাস্তা নির্মাণে ব্যয় হবে আনুমানিক ২০ হাজার কোটি টাকা।