৫১ কোরামিন কমিটি বিএনপিকে বাঁচাতে সারাদেশে মাঠে নামছে
স্টাফ রিপোর্টার : ৫১ কোরামিন কমিটি বিএনপিকে বাঁচাতে সারাদেশে মাঠে নামছে। সারাদেশে সংগঠনকে পুনর্গঠন করতে এই ৫১ টিমের কমিটি কাজ করবে। এসব কমিটি সারাদেশে কর্মীসভা এবং দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদারে নির্দেশনা দেবে। কমিটির নেতারা জাতীয় রাজনীতি ও সাংগঠনিক বিষয় জোরদার করতে আলোচনা করবেন। সারাদেশে বিএনপির ৭৫টি রাজনৈতিক জেলায় কমিটি নেতারা কর্মীসভায়’ও অংশ নেবেন।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের এসব টিম গঠনের কথা জানান। তিনি জানান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং মানিকগঞ্জ, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন চট্রগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ এবং মহানগর, মির্জা আব্বাস বরিশাল উত্তর ও দক্ষিণ এবং মহানগর, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রাজশাহী জেলা ও মহানগর, আবদুল মঈন খান নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর, নজরুল ইসলাম খান রংপুর ও মহানগর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সিলেট ও মহানগরের দায়িত্ব থাকবেন এবং এসব এলাকায় কর্মীসভা করবেন।
দলের ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল নোমানকে ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ, অধ্যাপক এম এ মান্নানকে নারায়ণগঞ্জ ও মহানগর, হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে নীলফামারী ও লালমনিরহাট, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফকে রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ, আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে ঝালকাঠি, সেলিমা রহমানকে নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ, মোহাম্মদ শাহজাহানকে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ, মীর মো. নাসিরউদ্দিনকে চাঁদপুর ও কক্সবাজার, খন্দকার মাহবুব হোসেনকে ঢাকা, মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরীকে কুড়িগ্রাম, ড. ইনাম আহমেদ চৌধুরীকে শেরপুর, আমিনুল হককে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, আবদুল আউয়াল মিন্টুকে কুমিল্লা উত্তর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনকে সিরাজগঞ্জ ও পাবনা, শামসুজ্জামান দুদুকে কুমিল্লা দক্ষিণ ও বান্দরবান, আহমেদ আজম খানকে জামালপুর ও শরীয়তপুর, জয়নাল আবেদীনকে গাজীপুর, নিতাই রায় চৌধুরীকে বরগুনা এবং শওকত মাহমুদকে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় কর্মীসভা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমানকে টাঙ্গাইল, মিজানুর রহমান মিনুকে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও, আবুল খায়ের ভুঁইয়াকে মাগুরা, জয়নুল আবদিন ফারুককে জয়পুরহাট, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীনকে ঝিনাইদহ, মনিরুল হক চৌধুরীকে মেহেরপুর, ফজলুর রহমানকে নরসিংদী, হাবিবুর রহমান হাবিবকে পটুয়াখালী, আতাউর রহমান ঢালীকে ফেনী, নাজমুল হক নান্নুকে ফরিদপুর, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে খুলনা ও মহানগর, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকনকে মাদারীপুর, মজিবুর রহমান সারোয়ারকে ভোলা, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে যশোর, খায়রুল কবির খোকনকে নাটোর, হাবিবউন নবী খান সোহেলকে বগুড়া ও গাইবান্ধা, হারুন অর রশীদকে নওগাঁ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনকে মুন্সিগঞ্জ, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে বাগেরহাট ও চুয়াডাঙ্গা, নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে নড়াইল, আসাদুল হাবিব দুলুকে দিনাজপুর ও সৈয়দপুর, সাখাওয়াত হোসেন জীবনকে সুনামগঞ্জ, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপনকে পিরোজপুর, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে সাতক্ষীরা এবং ঝিনাইদ জেলা সভাপতি মশিউর রহমানকে কুষ্টিয়া জেলায় কর্মীসভা করা দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বিএনপির একাধিক নেতা জানান, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের পক্ষ থেকে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শিগগিরই নির্বাচনকালীন সময়ে ‘সহায়ক সরকার’ নামে একটি রুপরেখার প্রস্তাব তুলে ধরবেন। এই প্রস্তাব যদি সরকার গ্রহণ না করে তাহলে সারাদেশে প্রস্তাবের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা হবে। একই সঙ্গে কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে সেই বিষয় নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি সরকার বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য তৃণমুল নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি।
তারা জানান, এই কৌশল সামনে রেখেই দল গোছানো, সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করা ও এলাকায় দলের অবস্থান কতটুকু শক্তিশালী তা নিয়ে আলোচনা করতেই ৫১টি টিম গঠন করা হয়েছে। এসব টিমের নেতারা আগামী ৭ মে পর্যন্ত জেলায় জেলায় কর্মীসভা করার পর একটি প্রতিবেদন তৈরি করবেন। ওই প্রতিবেদন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে তুলে দেবেন। এরপর তিনি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ দলের সিনিয়র নেতা এবং ২০ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।