৩ বকরি সালমান শাহরুখ সাইফিনা?
ডেস্ক রিপোর্টার : আজ পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। ভারতে বেশির ভাগ মানুষ একে ‘বকরি ঈদ’ বলে। কারণ, এদিন তারা বকরি বা খাসি কোরবানি দিয়ে থাকে। বলিউডের মুসলিম তারকারাও যোগ দেন এ উৎসবে। বকরি ঈদ সাধারণত তারকারা নিজ পরিবারের সঙ্গে পালন করেন। তবে ভক্তদের শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেন না। এই তো সম্প্রতি সালমান খান তাঁর আগামী ছবি ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’-এর প্রচারণার জন্য এক বিজ্ঞাপনচিত্রের মাধ্যমে দর্শক-ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে সহশিল্পী ক্যাটরিনা কাইফও ছিলেন। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তো আছেই। এ তো গেল সাধারণ কথা। এবার ঈদ নিয়ে খানদের মজার কিছু গল্প শুনুন
ইরফান খানশাহরুখ খান, আমির খান, সালমান খান, সাইফ আলী খান, ইরফান খান—ভক্তদের নাগালের বাইরে। কিন্তু খবরের মাধ্যমে ঠিক ঠিক পৌঁছে যান ভক্তদের কাছে! কীভাবে? ইরফান খানেরটা আগে বলি। তাঁর অভিজ্ঞতাটা কিছুটা তেতো বলা যায়। গত বছর কোরবানি ঈদের আগে এক মন্তব্য করে ফেঁসে যান তিনি। তিনি বলছিলেন, ‘বর্তমান সময়ে বকরি ঈদের মর্যাদা কেউ ঠিকমতো বোঝে না। কোরবানি দিতে হয় প্রিয় জিনিস। হাট থেকে একটা পশু কিনেই বকরি দেওয়া হয়, যেটা অল্প সময়ে প্রিয় হয়ে ওঠে না।’
তাঁর মতে, এখন লোক দেখানোর জন্য চড়া দামে বকরি কিনে কোরবানি দেওয়া হয়। তাঁর এমন মন্তব্য শুনে ভারতের মাওলানারা বেজায় চটে গিয়েছিলেন। তাঁরা আবার বলছিলেন, ইরফান খান ধর্ম বা কোরবানি সম্পর্কে না জেনে কথা বলেছেন, কোরবানির বিরোধিতা করেছেন। ফলে ইরফান খান আবার মন্তব্য করেন, ‘আমার মন্তব্য শুনে যাঁদের মন খারাপ, তাঁরা হয় আমার কথার গভীরতা বুঝতে রাজি নন অথবা তাঁরা খুব দ্রুত কোনো সিদ্ধান্তে আসতে চান।
’আমির খান‘পিকু’ তারকার এই কথার পর মোটামুটি এ ঘটনায় ভাটা পড়ে। কিন্তু হঠাৎ একদিন এক সাংবাদিক আমির খানের কাছে ইরফান খান যা বলেছেন সে সম্পর্কে মন্তব্য জানতে চান। সাংবাদিক মশায় নিশ্চয়ই ভালো করে জানতেন, ‘পিকে’ তারকা আমির খান তাঁর ধর্ম ইসলাম নিয়মিত চর্চা করেন। যা-ই হোক, আমির খান তো বোকা নন। তিনি জবাব দিলেন, ‘ধর্ম হচ্ছে ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাঁর (ইরফান) নিজস্ব মন্তব্য করার অধিকার আছে।’ এ ব্যাপারে আর কিছু বলতে রাজি হননি আমির। শাহরুখ খান
একবার শাহরুখ, সালমান আর সাইফকে জয়পুরের এক পশুর হাটে বিক্রি করা হয়! সত্যি। তিনটি বকরির নাম এই তিন তারকার নামে রাখা হয়েছিল। ২০১১ সালের বকরি ঈদে এই তিন বকরি বেশ ভালো দামে বিক্রি করেন তাদের মালিক। সালমান ও শাহরুখের ওজন ১০০ থেকে ১২৫ কেজির মধ্যে ছিল। আর সাইফের ওজন ছিল ৮০ কেজি। বকরির মালিক বুদ্ধিমান বটে! এমনকি চার লাখ রুপিতে সেবার বিক্রি হয় সাইফিনা (সাইফ আলী খান ও স্ত্রী কারিনা কাপুর খানের ছোট নাম) নামের একটি বকরি। ঠিক এর আগের বছর আমির খান নামের এক বকরি বিক্রি হয় দেড় লাখ রুপিতে। ওজন ছিল ১২৫ কেজি।
২০১৩ সালে আবার শাহরুখ, সালমান আর আমির নামে তিনটা বকরি বিক্রি হয়। ১৫ হাজার থেকে ৫ লাখ রুপি পর্যন্ত চড়া দাম হাঁকেন এদের মালিক। ২০১৫ সালে শাহরুখ খানকে ১ লাখ রুপির ব্যবধানে হারিয়ে দেয় সালমান খান! শাহরুখ খান নামের একটি বকরি বিক্রি হয় ১০ হাজার রুপিতে আর সালমান খান নামের আরেকটি বকরি বিক্রি হয় ১ লাখ ১০ হাজার রুপিতে। লক্ষ্ণৌয়ের বকরি ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি আমার দুই বছরের নাদুসনুদুস বকরির নাম রেখেছি সালমান খান আর দাম রেখেছি ১ লাখ ১০ হাজার।’ ব্যবসায়ীরা জানান, বলিউডের মুসলিম তারকা, বিশেষ করে ‘খান’-দের নামে বকরির নাম রাখলে তা খুব ভালো দামে বিক্রি করা যায়। শুধু কি তা-ই? তারা বকরির গায়ে রং দিয়ে আলপনা এঁকে, সেগুলোর পায়ে ঘুঙুর বেঁধে, চোখের পাপড়িতে রং করে আকর্ষণীয় করে হাটে নিয়ে আসেন। এ বছর অবশ্য কোনো ‘খান’-কে হাটে উঠতে শোনা যায়নি।