‘২ দেশ লাভবান হবে সহযোগিতা বাড়লে’
ডেস্ক রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের বিপুল তরুণ জনশক্তি এবং সিঙ্গাপুরের পুঁজি কাজে লাগিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা এগিয়ে নিতে পারলে দুই দেশই আরো লাভবান হতে পারে।সোমবার সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট ভবন ইস্তানায় এক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সম্মানে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লোং এই মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন।শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর উন্নয়নের ভিন্ন পর্যায়ে দুটি অবস্থান করলেও সমৃদ্ধি অর্জনে দুই দেশের শক্তির জায়গাগুলো পরস্পরের পরিপূরক হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। দুই দেশের এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক মূল্যবোধ, ইতিহাস ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আরও সুদৃঢ় হচ্ছে।সিঙ্গাপুরে আপনাদের আছে পুঁজি, আধুনিক প্রযুক্তি আর জ্ঞান। আর বাংলাদেশে আমাদের আছে বিপুল জনশক্তি। আমাদের মোট জনসংখ্যার বড় একটি অংশ তরুণ, তারা শিক্ষিত।
এ বিষয়গুলো যৌথভাবে কাজে লাগাতে পারলে দুই দেশই আরো লাভবান হতে পারে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য সিঙ্গাপুর একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। আমি আশা করি সিঙ্গাপুর সরকার তাদের জন্য সম্মানজনক একটি কর্মপরিবেশ দেবে।সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এক লাখ ৬০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। এর মধ্যে ৩০ হাজার বাংলাদেশি কাজ করেন জাহাজ নির্মাণ শিল্পে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে। এই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে অতীত ইতিহাস, অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে।এই মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুব এবং প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লোংয়ের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন। পরে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ এবং বিমান চলাচলে সহযোগিতার বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা মধ্যাহ্নভোজে বলেন, আমাদের ব্যবসায়ী চেম্বারগুলো আগামীকাল আরো কয়েকটি সমঝোতা স্মারকে সই করবে। এসব চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলো যে বাংলাদেশের বিষয়ে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে, তাতে আমি আনন্দিত।
প্রধানমন্ত্রী এই সফরে উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য সিঙ্গাপুর সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং সিঙ্গাপুর আসিয়ানের নেতৃত্ব নেওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লোংকে অভিনন্দন জানান।প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লোংয়ের আমন্ত্রণে চারদিনের সফরে রোববার সিঙ্গাপুরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফর শেষে ১৪ মার্চ তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।