• শনিবার , ২৩ নভেম্বর ২০২৪

২ ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ-পয়েন্ট ভুলের খেসরাত


প্রকাশিত: ১:৩১ এএম, ৪ মে ২৪ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৭ বার

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশনে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের জন্য অনিয়মিত কর্মীদের গাফিলতিকে দায়ী করা হচ্ছে। রেল সংশ্লিষ্টরা জানান, জয়দেবপুরে বিদেশি অর্থায়নে রেল লাইনের কাজ চলমান থাকায়, সেখানে চুক্তিতে কাজ করছিলেন একজন মাস্টার ও দুজন পয়েন্টসম্যান। দুই প্রান্তে দুটি ট্রেন আসার খবরে, লাইনের পয়েন্ট মেলাতে গিয়ে ভুল করেন তারা। এতে টাঙ্গাইল কমিউটার ঢুকে পড়ে ভিন্ন লাইনে।

টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগন্যালে পৌঁছায় শুক্রবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে। প্রায় একই সময়ে ঢাকা থেকে একটি তেলবাহী ট্রেন জয়দেবপুরে ঢোকে। আউটার সিগন্যালে তখন কাজ করছিলেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া একজন মাস্টার এবং দুজন পয়েন্টসম্যান।

নির্দেশনা পেয়ে লাইনের পয়েন্ট পরিবর্তন করেন তারা। আর এখানেই ঘটে বিপত্তি। গাফিলতির কারণে, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন ঢুকে যায় অন্য লাইনে। এতেই ঘটে সংঘর্ষ। আহত হন দুই চালকসহ চার জন। ঘটনার পরই পালিয়ে যান দুই পয়েন্টসম্যান।জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার মো হানিফ আলী বলেন, ‘এখানে যারা বসা সবাই প্রকল্পের। আর স্টেশনে আমরা যারা বসি, সবাই সরকারি কর্মকর্তা। যে রাস্তা বানানোর কথা, অন্য রাস্তা বানিয়েছে। ভুলটা এ জায়গাতেই করেছে কাশেম সাহেব, সাদ্দাম আর মোস্তাফিজ।’

রেলের একজন পয়েন্টম্যান বলেন, ‘এগুলো তো মোটর পয়েন্ট। হাত দিয়ে ঘুরাতে হয়। ইন্টারলক হলে স্টেশন থেকে বানায় আর এখন যেহতু কাজ চলছে, তাই হাত দিয়েই বানাতে হয়।’ রেল কর্মকর্তারা বলছেন, ম্যাকানিক্যাল ও সিগন্যালের ত্রুটি হলেই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। গাজীপুরের ঘটনা তদন্ত করে, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, ‘এখানে আমাদের রেভিন্যুর লোকও আছে, আবার প্রজেক্ট থেকেও কাজ করছে। যেহতু ইন্টরলক তাই প্রত্যেক পয়েন্টেই আমাদের লোক দিতে হচ্ছে। এখানে দুটো কারণ হতে পারে, হিউম্যান ফেইলিয়র অথবা টেকনিক্যাল বিষয়। এ ঘটনায় যারা তদন্ত কমিটি আছে এটা তারাই বলতে পারবে।’

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তে দুই কমিটি, বিজিবি মোতায়েন গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তে দুই কমিটি, বিজিবি মোতায়েন
এই ঘটনায়, বিভাগীয় সিগন্যাল প্রকৌশলীর নেতৃত্বে তদন্তে নেমেছে একটি কমিটি। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের রিপোর্ট দেওয়ার কথা রয়েছে।
এ দুর্ঘটনার পর প্রায় তিন ঘণ্টা উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকে। এ সময় বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে অন্তত ১০টি ট্রেন। পরে আরেকটি লাইন দিয়ে শুরু হয় ট্রেন চলাচল। এ ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।