• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

২১২১০০কোটি টাকা যাচ্ছে সরকারের ঘরে


প্রকাশিত: ৬:২৬ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ১৯ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২০ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : ২১২১০০কোটি টাকা যাচ্ছে সরকারের ঘরে। স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন–ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ দেশের মোট ৬৮টি স্বশাসিত সংস্থার ২ লাখ ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা ‘অলস’ হিসেবে বিভিন্ন ব্যাংকে জমা আছে। এখন এই সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ জন্য একটি আইনের খসড়া আজ সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আইনটি চূড়ান্ত হলে ওই সব প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ব্যয়সহ প্রয়োজনীয় টাকা রেখে বাকি টাকা সরকারের কোষাগারে জমা নেওয়া হবে। বর্তমানে ওই সব প্রতিষ্ঠানের অর্থ ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছেই আছে।আজ সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন–ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাসমূহের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান আইন, ২০১৯’ -এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

পরে সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি বলেন, মোট ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশি জমা টাকা আছে ২৫টি প্রতিষ্ঠানের কাছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের কাছে জমা আছে ২১ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। পেট্রোবাংলার কাছে ১৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কাছে আছে ১৩ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জমা টাকার পরিমাণ ৯ হাজার ৯১৩ কোটি। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) জমা টাকা আছে ৪ হাজার ৩০ কোটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী এই সংস্থাগুলোর পরিচালন ব্যয়ের টাকা তাদের নিজস্ব তহবিলে থাকবে। তারপর আপত্কালীন ব্যয়ের জন্য পরিচালন ব্যয়ের আরও ২৫ শতাংশ সংরক্ষণ করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানের পেনশন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও রাখা যাবে। এরপর যে টাকা উদ্বৃত্ত থাকবে, সেটি সরকারি কোষাগারে জমা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া আজকের বৈঠকে ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন আইন, ২০১৯’ -এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত এই আইন অনুযায়ী বিশেষ পরিস্থিতিতে সড়ক পরিবহনসেবা দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হরতাল, পরিবহন ধর্মঘট, জরুরি অবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন, বিশ্ব ইজতেমা, মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও অনুরূপ পরিস্থিতি হলে বিশেষ সড়ক পরিবহন সেবা। অর্থাৎ, এই সময়ে বিআরটিসির বাস চলবে।