• মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪

১৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিল বজ্রপাত


প্রকাশিত: ৬:৪৬ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ১৬ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৩৪ বার

জাতিরকন্ঠ ডেস্ক : দেশের বিভিন্ন স্থানে মঙ্গলবার বৃষ্টি ও বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন। 22এরমধ্যে টাঙ্গাইলের মধুপুরে একই পরিবারের তিনজন বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। এছাড়া সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লায় ছয়জন, কিশোরগঞ্জে দুইজন এবং রংপুরের বদরগঞ্জে একজন ও পীরগাছায় একজন প্রাণ হারান।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনের বিভিন্ন সময়ে বজ্রপাতের এসব ঘটনা ঘটে।

মধুপুর (টাঙ্গাইল)- মঙ্গলবার ভোরে মধুপুর উপজেলার বেড়িবাঁধ ইউনিয়নের মাগন্তিনগর পচারচনা গ্রামে বজ্রপাতে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।নিহতরা হলেন, নিখিল হাজং (৪৫) এবং তার ছেলে জর্জ সিমসাং (১০) ও লোটন সিমসাং (৮)। এসময় নিখিলের স্ত্রী জনতা সিমসাং (৪০) আহত হন।জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক জানান, ভোরে বৃষ্টির সময় নিখিলের বসত ঘরের ওপর বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নিখিল ও তার দুই ছেলের।

সুনামগঞ্জ ও দিরাই-শাল্লা: সুনামগঞ্জে দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় ছয়জন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন।দিরাই উপজেলায় নিহতরা হলেন, মাটিয়াপুর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে শামীম মিয়া ও একই গ্রামের আবদুল হাসিমের ছেলে তহুর মিয়া ও টুকদিরাই গ্রামের আজিদ উল্লাহর ছেলে শেমরান হোসেন। শাল্লা উপজেলায় নিহতরা হলেন- শ্রীহাইন গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে খাইনুল মিয়া, আকিকুল ইসলামের ছেলে ঈমান মিয়া ও আব্দুস সালামের ছেলে হৃদয় মিয়া।

সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে পৃথক বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয় বলে জানান দিরাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন ও শাল্লা থানার ওসি বজলার রহমান।

কিশোরগঞ্জ: বজ্রপাতে করিমগঞ্জ উপজেলায় ছেলেসহ মা মারা গেছেন। আহত হয়েছেন মেয়ে। করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির রাব্বানী জানান, সকাল ১০টার দিকে গুজাদিয়া ইউনিয়নের করমসী গ্রামের কৃষক মারুফ মিয়ার বাড়িতে বজ্রপাত হয়।নিহতরা হলেন, মারুফ মিয়ার স্ত্রী ললিতা (৪০) ও তাদের ছেলে রিমন (১৫)। বজ্রপাতে তাদের মেয়ে বিউটি (২০) গুরুতর আহত হন। তাকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

রংপুর: জেলার পীরগাছা ও বদরগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে এক গৃহবধূসহ দুই জন নিহত হয়েছেন।পীরগাছা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, বিকেলে কৈকুড়ী ইউনিয়নের মিরাপাড়া গ্রামে জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান হারুন-অর-রশিদ (৪৮)।অপরদিকে, বদরগঞ্জে বজ্রপাতে সন্ধ্যা রানী (৪০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন চার জন।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রাজিয়া বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।