হাসিনা হত্যাচেষ্ঠা ১০ জনের ফাঁসি
কোর্ট রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ জনের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। এর আগে ৬৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১০ আগস্ট ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম রায়ের এদিন ঠিক করে দেন।
হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনের এ দুই মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে অন্য একটি মামলায়। এ কারণে তার নাম এ মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।বাকিদের মধ্যে ১২ জন কারাগারে রয়েছেন এবং ১২ জন পলাতক।
২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের জন্য মঞ্চ নির্মাণের সময় মাটিতে পুঁতে রাখা ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পাওয়া যায়। পরদিন ৮০ কেজি ওজনের আরো একটি বোমা উদ্ধার করা হয় কোটালীপাড়ার হেলিপ্যাড থেকে।
তার একদিন পরই নিজের নির্বাচনী এলাকায় দাদার নামে প্রতিষ্ঠিত ওই কলেজ মাঠে জনসভায় শেখ হাসিনার ভাষণ দেয়ার কথা ছিল। ওই ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক নূর হোসেন বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।
২০০১ সালের ৮ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সি আতিকুর রহমান গোপালগঞ্জের একটি আদালতে মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ২০০৯ সালের ২৯ জুন নতুন করে ৯ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১০ সালে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টাসহ হরকাতুল জিহাদের ১৩টি নাশকতামূলক ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার পেছনে মূল ব্যক্তি হিসেবে মুফতি হান্নানকে দায়ী করা হয়।