হাসপাতালে হার্টের রিং সরবরাহকারী ঠিকাদারদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি
মেডিকেল রিপোর্টার : হাসপাতালে হার্টের রিং সরবরাহকারী
ঠিকাদারদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।এদের অঘোষিতভাবে ধর্মঘটের কারণে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটসহ সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে হার্টের রিং পরানো কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
চক্রটি বুধবার সারাদিন সরকারি হাসপাতালে রিং সরবরাহ বন্ধ রাখে। আগের দিন হার্টের রিংয়ের মূল্য নির্ধারণ ও মোড়কে নির্ধারিত মূল্য লিখে রাখার বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এর প্রতিবাদে অঘোষিত ধর্মঘট পালন করেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা।
হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমান জাতিরকন্ঠকে বলেন, ‘গত মঙ্গলবার রাতে রিং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন স্বত্বাধিকারী ফোন করে সরকারি হাসপাতালে রিং সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়টি জানান। রোগীদের দুর্ভোগের বিষয় বিবেচনা করে তাদের এ ধরনের কার্যক্রম প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিলাম; কিন্তু তারা শোনেননি।
তবে বুধবার বিকেলে ফোন করে বৃহস্পতিবার (আজ) থেকে রিং সরবরাহ করার কথা জানান তারা।’ পরিচালক বলেন, এনজিওগ্রাম ও ক্যাথল্যাবসহ অন্যান্য চিকিৎসা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলেছে। তবে হার্টের রিং পরানো হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার থেকে রিং সরবরাহ করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। হৃদরোগ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে পাঁচটি ক্যাথল্যাবের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৩০টি রিং পরানো হয়। রিং সরবরাহ না করায় গতকাল সকাল থেকে অপেক্ষা করে রোগীদের ফিরে যেতে হয়েছে। হার্টের রিং বাণিজ্য বন্ধে সরকার মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় গত মঙ্গলবার।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান এ ধরনের অঘোষিত ধর্মঘটকে দুঃখজনক বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, হার্টের রিং নিয়ে আর কাউকে বাণিজ্য করতে দেওয়া হবে না। ১৭ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি রিংয়ের মূল্য নির্ধারণ করে দেবে। সবাইকে ওই মূল্যেই রিং বিক্রি করতে হবে।