• শুক্রবার , ১৮ অক্টোবর ২০২৪

হাটে হাড়ি ভেঙ্গে ভারতীয় দালালদের মুখোশ উম্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা।


প্রকাশিত: ১১:১৪ পিএম, ৯ মে ১৫ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫০ বার

PM hasina-www.jatirkhantha.com.bd  শফিক রহমান.ঢাকা:  হাটে হাড়ি ভেঙ্গে ভারতীয় দালালদের মুখোশ উম্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ গত ৪০ বছর ধরে শুনে এসেছে ওই চুক্তি ছিল ‘৪০ বছরের গোলামি চুক্তি’। এখন সবাই বুঝতে পারছে যে এটি ছিল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার। এখন এটি প্রমাণিত হলো, বাংলাদেশ ওই চুক্তির মাধ্যমে লাভবান হয়েছে।
তিনি আজ শনিবার সকালে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় এ কথা বলেন।

মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ গত ৪০ বছর ধরে শুনে এসেছে ওই চুক্তি ছিল ‘৪০ বছরের গোলামি চুক্তি’। এখন সবাই বুঝতে পারছে যে এটি ছিল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার। এখন এটি প্রমাণিত হলো, বাংলাদেশ ওই চুক্তির মাধ্যমে লাভবান হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের লোকসভায় বহুল আলোচিত স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল পাস হওয়াকে তাঁর সরকারের একটি বিশাল রাজনৈতিক সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ সরকার থাকায় কয়েক দশকের এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এখন ভারতের সঙ্গে স্থল সীমানা চুক্তির সমস্যা সমাধান হয়েছে।
শেখ হাসিনা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে যারা দ্বৈত ভূমিকা পালন করেছে, তারাই আওয়ামী লীগকে ভারতের দালাল বলেছে। অথচ তারাই আবার ভারতের পা ধরে বসে থেকেছে। এই সব লোক ফারাক্কা লংমার্চ করেছে। আওয়ামী লীগকে ভারতের দালাল বলেছে। বাস্তবতা হলো তারাই ভারতের প্রকৃত দালাল। তারা সব সময় ভারতের পা ধরে থাকে।’
১৯৭৪ সালে সম্পাদিত মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি এবং ২০১১ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রটোকলের আলোকে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার যথাক্রমে ভারতের রাজ্যসভা ও লোকসভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিলটি পাস হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিলটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট অর্জন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক, কৃষিবিদ আবদুল মান্নান, সাংসদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম ও সাংসদ জাহিদ আহসান রাসেল বক্তব্য রাখেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হল, কৃষি অনুষদ ভবন, মৎস্য অনুষদ ভবন, ভেটেরিনারি মেডিসিন অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ফ্যাকাল্টি বিল্ডিং এবং বেগম সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়াম উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া তিনি ড. এল এম আইজগ্রুবার গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ ফ্যাকাল্টি বিল্ডিং, অধ্যাপক ইয়াশিও ইয়ামাদা লাইব্রেরি বিল্ডিং, শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হল, ইলা মিত্র হল ও কৃষিবিদ ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা আউটডোর সেন্টারের নামফলক উন্মোচন এবং কৃষি অর্থনীতি ও পল্লি উন্নয়ন ফ্যাকাল্টি বিল্ডিংয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।