• শুক্রবার , ১৮ অক্টোবর ২০২৪

হাজী সেলিমের জনপ্রিয়তা গ্রহণযোগ্যতার পক্ষে বেশিরভাগ মন্ত্রী


প্রকাশিত: ৮:৩৩ পিএম, ২৩ মার্চ ১৫ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৫ বার

haji-salim--------------শফিক আজিজ.ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণের ডিসিসি মেয়র নির্বাচনে হাজী মোঃ সেলিমের জনপ্রিয়তা গ্রহণযোগ্যতার পক্ষে মত দিলেন সরকারের বেশিরভাগ মন্ত্রী। প্রায় সকলেই বলেছেন, আসন্ন ডিসিসি দক্ষিণের নির্বাচনী বৈতরণীতে সাঈদ খোকনের চেয়ে অনেক অনেক বেশী এগিয়ে রয়েছেন হাজী মোঃ সেলিম।

আওয়ামী লীগের পক্ষে তাঁকে মনোনয়ন দেয়া হলে হাজী মোঃ সেলিম নির্বাচিত হয়ে আসবেন এটা প্রায় নিশ্চিত।কিš ‘সাঈদ খোকনের পক্ষে ডিসিসি দক্ষিণের নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া খুব কঠিন হতে পারে। মন্ত্রীসভার এসব বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুনলেও তিনি কোন মন্তব্য করেননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মন্ত্রী জাতিরকন্ঠকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিসিসি দক্ষিণের মেয়র নির্বাচনে হাজী মোঃ সেলিমের জনপ্রিয়তা গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করছেন বলে কোন মন্তব্য করেননি।

dcc---1সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকের অনির্ধারিত আলোচনায় কয়েক জন সদস্যের বিরোধীতার কারণে এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এসময় প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের প্রার্থী সাঈদ খোকনের বিরোধীতা করে বক্তব্য রাখেন একাধিক মন্ত্রী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মন্ত্রী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, একাধিক মন্ত্রী সাঈদ খোকনের প্রার্থীতার বিরোধীতা করে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম -সাধারণ সম্পাদক হাজি সেলিমের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তার প্রার্থীতার পক্ষে যুক্তি উত্থাপন করেন। তবে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করেন নি বলেও জানায় সূত্র।

বৈঠকের অনির্ধারিত আলোচনায় সিটি করপোরেশন নিয়ে আলোচনা শুরু হলে খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক হাজি সেলিমের গ্রহযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা এবং মেয়র প্রার্থী হিসেবে উপযুক্ত বলে বক্তব্য রাখেন। এসময় সাঈদ খোকনের প্রার্থীতার বিরোধীতা করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান তার সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্যও করেন। আর নৌমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন জানান এসময় খাদ্যমন্ত্রী।

আলোচনার পরিধি বাড়তে থাকলে প্রধানমন্ত্রী কোনো মন্তব্য না করে চট্টগ্রামে মেয়র পদ প্রার্থী আ জ ম নাছির ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে সহযোগিতা করার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন। এসময় তিনি নির্বাচনের সময় প্রত্যেক সিটি করপোরেশনে দলের পক্ষ থেকে একক প্রার্থী নির্বাচন করবে বলে জোড় দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বচনের বৈতরণী পার হওয়ার মত প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় প্রার্থীকে নির্বাচিত করে আনার বিষয়ে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন মন্ত্রিসভা সদস্যদের। শেখ হাসিনা এ সময় বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো কিছুর পরোয়া করে না। যেভাবেই হোক দল থেকে একক প্রার্থীর বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির অংশ গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে এবং তারা নির্বাচনে আসবে এ আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাই দলীয় প্রার্থীকে জয়লাভ করার বিষয়ে সবাইকে সহযোগিতা করার কথা বলেন।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়ে একটি কমিটি গঠনের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে নিয়ে প্রার্থী বাছাই কমিটি গঠনের কথা বলেন। পরে তাদের সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ এবং জাপান সফরে থাকা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বাছাই কমিটিতে যোগ দেবেন বলে জানায় সূত্র। এই কমিটি যোগ্য, দক্ষ ও সৎ প্রার্থী নির্বাচিত করবে।

তবে মন্ত্রিসভায় ঢাকা সিটি করপোরেশন (উত্তর) প্রর্থী আনিসুল হকের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান বৈঠক সূত্র। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগেই দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী হিসেবে কাজ করার সবুজ সঙ্কেত দেন সাঈদ খোকনকে।