• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

হাওয়া ভবনের সন্ত্রাস দুর্নীতি লুটপাট জাতীয় পার্টি ভোলেনি: রওশন এরশাদ


প্রকাশিত: ১:৪৭ এএম, ২৮ নভেম্বর ২২ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৩ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বলেছেন, জনগণ উন্নতি ও শান্তির জন্য পরিবর্তন চায়। জাতীয় পার্টিই সেই শান্তি দিতে পারে। বিএনপি একটি অত্যাচারী দল, বিএনপির সঙ্গে জোটের প্রশ্নই ওঠে না।আজ রবিবার দুপুরে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে পাঁচ মাস চিকিৎসার পর দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিক ও দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি এ সব কথা বলেন।

রওশন এরশাদকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন এরশাদপুত্র রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ ও পুত্রবধূ মাহিমা সাদ, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদের মুখপ্রাপ্ত কাজী মামুনুর রশিদ, দলটির সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঁঙ্গা, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও গোলাম মসীহ, ইকবাল হোসেন রাজু প্রমুখ।

বিএনপির অধীনে জাতীয় পার্টি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে রওশন এরশাদ আরো বলেন, বিএনপির শাসামলে জাতীয় পার্টি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শত শত নেতাকর্মী জেল খেটেছে। আমাদের জনসভা করতে দেয়নি। আমাদের সমাবেশে হামলা করা হয়েছে। তাছাড়া আমরা তাদের শাসনামলে হাওয়া ভবনের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও অপতৎপরতা দেখেছি।

তিনি বলেন, রংপুরে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আমরা যোগ্য প্রার্থী দেব। এই আসনে জাতীয় পার্টিকে জয়ী হতে হবে। জাতীয় পার্টিকে দুর্বল করতে কিছু ষড়যন্ত্র হতে পারে। ভুল বোঝাবুঝি দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে শিগগির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফিরতে পারব। আমরা সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করব এবং ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গড়ে তুলব।

জাতীয় পার্টি ঐক্য চায় মন্তব্য করে রওশন এরশাদ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, পার্টিকে বিভক্ত করতে চাই না। আমি ঐক্য চাই, যারা দলের পেছনে গত ৩২ বছর সময় দিয়ে জাতীয় পার্টির জন্য কষ্ট করেছেন, জেল খেটেছেন এবং জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের সবার নিকট আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারের প্রতি আস্থা জানিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন বজায় রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দুর্নীতি, অর্থনীতিতে অব্যবস্থাপনা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির মতো কিছু ক্রটি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে অবগত আছেন।

তিনি আরো বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ গুরুতর অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। এর প্রভাব পড়েছে আমাদের দেশেও। তাই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে আরো সতর্ক হওয়া উচিত এবং সরকারকে সহযোগিতা করা উচিত। এর আগে আজ দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে রওশন এরশাদকে বহনকারী থাই এয়ারওয়েজের (টিজি-৩২১) বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।