হাওর অঞ্চলে ভয়াবহ অবস্থা সরকার নিরব দর্শক হয়ে আছে?
বিশেষ প্রতিনিধি : হাওর অঞ্চলে ভয়াবহ অবস্থা সরকার নিরব দর্শক হয়ে আছে? দেশের ক্ষতিগ্রস্ত হাওর অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়ে বিএনপি অভিযোগ করেছে, উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণে হাওর অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি কোনো মন্ত্রীও ওই এলাকায় যাননি। বিএনপির পক্ষ থেকে হাওর অঞ্চলে দ্রুত ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে খুবই নীরবে একটি ভয়াবহ এবং ভয়ংকর দুর্যোগ ঘটে গেছে এপ্রিল মাসের শুরুতে। বিস্তৃত হাওর অঞ্চলের বিশেষ সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোনার হাওর অঞ্চলের সাড়ে তিন লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকগোষ্ঠী খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কিন্তু সরকারের লোক দেখানো সহায়তা অপ্রতুল। আসলে বর্তমান সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত না হওয়ায় জনগণের কাছে তাদের দায়বদ্ধতা নেই। ‘
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি এ ব্যাপারে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা করে সেখানে পাশে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়। সেই নির্দেশ মোতাবেক আমি নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সাধ্যমতো সহায়তা করেছি। স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছি।তিনি বলেন, ‘হাওর অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানিয়েছেন ফসল নষ্ট হওয়ায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অবিলম্বে হাওর অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুরনো কৃষিঋণ মওকুফ, বিনা মূল্যে সার, বীজ বিতরণের দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ আলমগীর, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাখাওয়াত হোসেন জীবন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল ফারুক, এ টি এম আবদুল বারী ড্যানি, ছাত্রদলের সহসভাপতি নাজমুল হাসান প্রমুখ।নেত্রকোনো জেলা বিএনপির সভাপতি আশরাফ উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. আনোয়ারুল হন, সাংগঠনিক মনিরুজ্জামান দুদু, প্রচার সম্পাদক সেলিম আহমেদসহ নেত্রকোনা জেলা বিএনপির নেতারা।