‘হাওরের ক্ষয়ক্ষতি কাটাতে খাদ্যসহ সব কৃষি উপকরণ বিনামূল্যে দেয়া হবে’
সংসদ প্রতিনিধি : কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকার মানুষের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার খাদ্য সহায়তা, বিনামূল্যে সার, বীজ, কীটনাশকসহ সব ধরনের কৃষি উপকরণ বিতরণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি আজ সংসদে জাসদের সদস্য বেগম লুৎফা তাহেরের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী এক সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকায় গিয়ে এলাকার কৃষি ঋণ আদায় স্থগিত, সুদ মওকুফ, নতুন ঋণ প্রদান ও পরবর্তী ফসল না উঠা পর্যন্ত বিনামূল্যে খাদ্য সরবারাহ করার ঘোষণা দিয়েছেন। ঘোষণা অনুযায়ি সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ওই এলাকায় ব্রি ধান-৪৮ জাতের (আউশ) বীজ বিনামূল্যে বিতরণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ইউনিয়নভিত্তিক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। দ্রুততার সাথে আউশ ধান বপনের কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। এলাকায় খরিফ মৌসুমে দ্রুততার সাথে আমন ধান, মুগ, মাসকলাই ও খেসারীসহ অন্যান্য ফসল আবাদের কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। সবজি উৎপাদনের জন্য ভাসমান বেড পদ্ধতি হাওর এলাকায় চালু করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, আগামী বোরো মৌসুমে আগাম রোপনের জন্য হাইব্রিডসহ অন্যান্য জাতের বীজতলা তৈরি করে চাষীদের মধ্যে চারা বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আগাম আউশ ও আমন মৌসুমে সারা দেশে আবাসী এলাকা সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় ব্রি ধান-৪৮ জাতের (আউশ) ১২৫০ কেজি বীজ বিনামূল্যে বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।মন্ত্রী বলেন, এছাড়া হ্ওার এলাকার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সম্ভাব্য সকল আউশ এবং আমনের জমিতে ধান রোপন নিশ্চিত করা হবে। নিবিড় শস্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আউশ বা আমন ফসলের কাক্সিক্ষত উৎপাদন নিশ্চিত করা হবে। আমন মৌসুমে হঠাৎ পানিতে ডুবতে পারে এমন জমিতে ব্রিধান-৫২, বিনাধান-১১ জাতকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাষাবাদের আওতায় আনা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ক্ষয়ক্ষতির গুরুত্ব উপজেলা পর্যায়ে সমন্বয় সভায় তুলে ধরা হবে। উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে নাবী আমন ধানের চারা উৎপাদন ও বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভাসমান বেডে বীজতলা প্রস্তুত করা হবে। ক্ষুদ্র, প্রান্তিকসহ সকল কৃষকের আমন জমি রোপণের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, সিলেটের খাদিমনগরে অবস্থিত কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আসন্ন আমন মৌসুমের জন্য নাবী আমন ধানের চারা উৎপাদন করে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।