• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

হঠাৎ বউকে ভয় শাকিবের!


প্রকাশিত: ১২:৩৯ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ১৪ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৭২ বার

 

 

 

স্পোর্টস রিপোর্টার.ঢাকা:
ব্যাটে–বলে তো তিনি বিশ্বসেরাই৷ ফিল্ডিংয়েও দুর্দান্ত৷ সাকিব আল হাসান কিন্তু কথার মাধ্যমেও দর্শকদের অন্য রকম আনন্দ দিয়ে থাকেন৷ যেকোনো আয়োজনে বিভিন্ন প্রশ্নের হাসিমাখা উত্তর দেন৷ সরস সেই সব উত্তর দর্শকদের অন্য রকম মজা দেয়৷ আজও দিল৷
ঢাকার রমনা পার্কে আয়োজিত বাংলালিংক বাংলাদেশ উৎসবের একটি পর্বে সাকিবের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়৷ এ সময় উপস্থাপক আব্দুন নূর তুষার প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশে খেলতে এলেই বিদেশি খেলোয়াড়েরা সব সময় বলে, “আমরা সাকিবকে ভয় পাই”, সাকিব কাকে ভয় পান?’ সাকিবের কৌতুকমাখা উত্তর, ‘ও রকম কাউকে না৷ তবে বউকে একটু একটু ভয় পাই৷’ এ সময় দর্শকদের মধ্যে হাসির কলরোল পড়ে যায়৷ পরে সাকিব যোগ করেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমাদের দুজনের সম্পর্ক অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ৷ আমরা যেভাবে কথা বলি, মনে হয় না আমরা স্বামী-স্ত্রী৷ এর চেয়ে বেশি মনে হয় আমরা বন্ধু৷’
ক্রিকেট মাঠের বাইরে সাকিবের ‘ভীতি’র জায়গাটা না হয় বোঝা গেল৷ মাঠের ভেতরে? এবার সাকিবের চটপট উত্তর, ‘ভয়ের তেমন কোনো জায়গা আছে মনে হয় না৷ তবে সবাই মনোযোগ দেয় বলের ওপর৷ ব্যাটসম্যানরা ওটার দিকে মনোযোগ দেয়৷ বোলাররা, ফিল্ডাররা৷ দর্শকরা৷ এমনকি আম্পায়ারও৷ খেলাটা কিন্তু বলেরই৷’
উপস্থাপক এ সময় আবারও মজা করে বলেন, ‘বোলাররা নাকি ভয় পায় শিশিরকে! বিশেষ করে শিশিরমাখা বলে বোলিং করতে স্পিনারদের কষ্ট হয়?’ এবারও সাকিব বেশ দিলখোলা হাসি হেসে বলেন, ‘হ্যাঁ, শিশিরকে আমরা বোলাররা একটু ভয় পাই৷ তবে সেই শিশির আমার স্ত্রী না৷ এখন যেটা আমাদের মাথার ওপর পড়ছে সেটা৷’
জিতলে এবং হারলে কী করেন সাকিব? তাঁর উত্তর, ‘জিতলে এবং যদি আমি ভালো খেলি, তখন রাতে একটু দেরি করে ঘুমাই, সকাল সকাল ঘুমও ভাঙে৷ আর যদি খারাপ করি, ঘুমটা তাড়াতাড়ি আসে, খিদাও বেশি লাগে৷ আর ঘুমটাও বেশিক্ষণ হয়৷’
ক্রিকেটার না হলে তিনি যে ফুটবলার হতেন, এ কথা অনেকবারই বলেছেন৷ তাঁর এক ভাই বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলেও খেলেছেন৷ বাবাও ছিলেন ফুটবলার৷ সাকিব এর সঙ্গে আজ যোগ করলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় আমি ক্রিকেটের চেয়ে ফুটবলটাই ভালো খেলি৷ এখনো সব সময় ফুটবল খেলা হয়৷ তবে সেটা দলের ভেতরে৷ অনুশীলনে গা গরম করার সময়৷’
দর্শকদের উদ্দেশে সাকিব বলেন, দর্শক আছেন বলেই তাঁরা আছেন, ‘এখানে এত দর্শক না থাকলে আমরাও কথা বলে উপভোগ করতাম না, তাঁরাও করতেন না৷ আমরা যখন ক্রিকেট খেলি, তখনো চাই মাঠভর্তি দর্শক হোক৷ মাঠে গ্যালারি–ভর্তি দর্শক থাকলে মজাটা অন্য রকম হয়৷ তাঁরা কেউ না থাকলে, প্রিমিয়ার লিগ বা ঘরোয়া ক্রিকেটে গ্যালারি ফাঁকা থাকে, তখন খেলার ধরনটা এক রকম হয়৷ আবার আন্তর্জাতিক ম্যাচে দর্শক যখন উপচে পড়া হয়, আমাদের সমর্থন করেন, সেটার অনুভূতিটা অন্য রকম৷ খেলাটা তো দর্শকদের জন্যই৷ আমরা খেলছি বাংলাদেশের জন্য, যারা মাঠে এসে খেলা দেখছেন, আমাদের জন্য দোয়া করেন, তাঁদের জন্য৷’
সামনেই বিশ্বকাপ৷ এবারের বিশ্বকাপে কেমন করবে বাংলাদেশ? সাকিব বলেন, ‘আশা করি খুবই ভালো করবে৷ আমরা শেষ সিরিজটা ভালো খেলেছি৷ এটা আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছি৷ বিশ্বকাপের দুই সপ্তাহ আগে অস্ট্রেলিয়ায় যাব আমরা৷ সেখানে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় পাব৷ আশা করি গত সিরিজের আত্মবিশ্বাসটা কাজে লাগাতে পারব৷ বাংলাদেশের বিশ্বকাপে প্রথম লক্ষ্য দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা৷ সবাই মিলে সেই লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করব৷ ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হব৷’