• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

স্বতন্ত্র থেকেও মন্ত্রী!


প্রকাশিত: ১২:০১ এএম, ২৮ জানুয়ারী ২৪ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৯ বার


০০ সেরা ফুলটি বেছে নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী
০০ আজ গনভবনে বৈঠক-

 

লাবণ্য চৌধুরী : এবার স্বতন্ত্রদের কপাল খুলছে! সদ্য শেষ হওয়া ভোটের পর স্বয়ং শেখ হাসিনা ডেকেছেন তাদের। এই সাক্ষাতেই পরীক্ষা হবে স্বতন্ত্রদের। এবার স্বতন্ত্রদের মধ্য থেকেও মন্ত্রী করা হতে পারে! এমন আভাস মিলেছে বিভিন্ন সূত্রে। ওপর মহলের একটি সূত্র দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানিয়েছেন, এবার নির্বাচনে ওনেক হাই কেলিবারের এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। যাদের যথেষ্ট মেধা বুদ্ধিমত্তা ও দলের প্রতি অগাধ আনুগত্য রয়েছে।

ফলে স্বতন্ত্রদের মধ্যে থেকেও সেরা ফুল বেছে নিতে পারেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনা।কারণ, এর আগে তিনিই বলেছিলেন, সেরা ফুলটি বেছে এমপি মনোনয়ন দেবেন। এবারও তাঁর নির্দেশেই স্বতন্ত্ররা নৌকা ও লাঙ্গল এর সঙ্গে প্রতিযোগীতা করে নিজেদের সেরা হিসেবে জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন। কাজেই স্বতন্ত্রদের থেকে সেরা ফুলটিকে বেছে নিয়ে যোগ্যতার আসন দেয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয় মানবতার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

যাহোক, অনেকের ভিন্নমত থাকলেও বেশিরভাগ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেই থাকতে চান বলে দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে জানিয়েছেন। শেখ হাসিনাই ভরসার শেষ স্থান বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।
এবার দ্বাদশ সংসদের ২০ শতাংশই স্বতন্ত্র এমপি। সংসদে তাদের ভূমিকা কী হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। অনেকে বলেছেন, তারা সরকারের যৌক্তিক সমালোচনা করে দলের অনুগত থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে সামান্য কয়েকজন দোটানায় আছেন। রোববার প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পরই সব স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন বেশির ভাগ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য।

নির্বাচনকে অংশগ্রহণ মূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে এবার দলের নেতারাই স্বতন্ত্র নির্বাচনের গ্রিন সিগন্যাল পান। ভোটের মাঠে ১৫০টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নৌকা আর লাঙ্গলের বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন। তার মধ্যে ৬২ জন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদে পৌঁছেছেন।
এখন সংসদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কী ভূমিকা নিবেন। সরকার দলে যুক্ত হবেন নাকি বিরোধী দলে বসবেন, না স্বতন্ত্র হিসেবেই রয়ে যাবেন সেটাই এখন প্রশ্ন।

মাদারীপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম জানান, বিশেষ নির্দেশনা না আসলে তিনি বিরোধী দলে যেতে চান না। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বলছেন দলে ছিলেন দলেই আছেন সেই সাথে তারা দলীয় কর্মকাণ্ড যুক্ত হতেও চান। সব কিছুর পরে দলীয় নেতার নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।

গাইবান্ধা ১ আসনের নাহিদ নিগার বলেন, আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা নির্দেশনা দিবেন আমরা সে অনুযায়ীই কাজ করবো।
ঢাকা ১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরীও জানালেন একই কথা। তিনি দলের নির্দেশনা মতোই কাজ করতে চান। ফরিদপুর ৪ সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, আমরা বিরোধী দল হতে মোটেও ইচ্ছুক না। তারপরেও সকল সিদ্ধান্ত আমাদের অভিভাবক দিবেন। তার নির্দেশনাতেই আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।
ফরিদপুর ৩ আসনের একে আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডেকেছেন। তিনি আমাদের মতামত জানতে চাইলে আমরা আমাদের মতো মতামত জানাবো।

এবার ৬২ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ৫৮ জনই দলীয় পদে থেকে নির্বাচন করেছিল। বিএনপিবিহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে আরও ২৬টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। এসব দলের মধ্যে ক্ষমতাসীনদের ১৫ বছরের জোটসঙ্গী জাসদ এবং ওয়ার্কার্স পার্টি যেমন ছিলো, তেমনি ছিলো দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র জাতীয় পার্টিও।

এছাড়া ‘কিংসপার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি-সহ বেশ কয়েকটি দল এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়।
নির্বাচনে ২২২টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামী লীগ। এরপর সবচেয়ে বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এছাড়া জাতীয় পার্টি ১১টি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয় পেয়েছে।