• শুক্রবার , ১৮ অক্টোবর ২০২৪

স্কুলে জিনের আস্তানা-লোলুপ দৃষ্ঠি-প্রতিদিন ৩/৪ জন ছাত্রী অসুস্থ


প্রকাশিত: ১১:৩৯ পিএম, ৬ মে ১৫ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৮৪ বার

goast-11বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: জিন আতঙ্কে বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী পিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক ছাত্রী স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।শিক্ষকরা বলছেন গত এপ্রিল মাস থেকে পর্যাক্রমে ছাত্রীরা স্কুলে আসাছে না। অভিভাবকরা বলছেন বিদ্যালয়ে জিনের আঁচড় লাগায় মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তারা ছাত্রীদের আসা নিষেধ করে দিয়েছেন।

স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকরা জানান, এ বিদ্যালয়ে ৬ শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে তিন শতাধিক ছাত্রী। গত এপ্রিল মাসে হঠাৎ করে দশম শ্রেণি ছাত্রী নাসরিন, নাহিদা, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী আকলিমা ও ষষ্ঠ শ্রেণির সুখী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর প্রতিদিন ৩-৪ জন করে ছাত্রী অসুস্থ হয়। এতে ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সোমবার একই সঙ্গে ২২ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার অধিকাংশ ছাত্রী বিদ্যালয় আসেনি ।পিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ জানান বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিদিন ৩/৪ জন ছাত্রী অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটছে। অসুস্থতার পুর্বলক্ষণ হচ্ছে প্রথমে হাসি-কান্না ও ডাক চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

16799335.cmsতিনি আরও জানান, অভিভাবকরা স্থানীয় পর্যায় চিকিৎসা দিলেও তাদের ধারণা বিদ্যালয়ে জিনের আস্তানা রয়েছে। এ কারণে মেয়েরা বিদ্যালয় আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন চুন্নু জানান. অভিভাবকদের ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে ফকির দিয়ে ঝাড়ফুঁকের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অভিভাবক আবু সালেহ জানান, তার মেয়ে ৭ম শ্রেণি ছাত্রী সাথী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে চিকিৎসা দেয়ার পরে বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। তবে একারণে মেয়েরা স্কুলে আসতে চাচ্ছে না।অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, এ ঘটনার পরে পিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত কিংবা মেয়েদের স্কুলমুখী করতে আসেনি।

তালতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম জানান ঘটনা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী তোফায়েল আহম্মেদ জানান ঘটনা শুনেছি। প্রধান শিক্ষককে অসুস্থ মেয়েদের চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের সহকারী পরিচালক ডা. একরামুল কবির জানান এটা মার্স (গণহিস্টোরিয়া) হতে পারে।