সেরাদের সেরা নাসিরের সিলেট সিক্সার্স
স্পোর্টস রিপোার্টার : বিপিএলের পঞ্চম আসরে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে নাসির হোসেনের দল সিলেট সিক্সার্স। উদ্বোধনী ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটসকে হারানো পর আজ রবিবার দিনের প্রথম ম্যাচে তারা হারিয়ে দিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে। ১৪৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে টান টান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ১ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
কুমিল্লার দেওয়া ১৪৬ রানের টার্গেটে উড়ন্ত সূচনা করে নাসির হোসেনের সিলেট সিক্সার্স। প্রথম ম্যাচের মতই দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা এবং আন্দ্রে ফ্লেচার বোলারদের ওপর চড়াও হন। শেষ পর্যন্ত ডোয়াইন ব্র্যাভোর বলে রশিদ খানের দুর্দান্ত ক্যাচে আন্দ্রে ফ্লেচার (৩৬) আউট হলে ভাঙে ৭৩ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর কিছুটা চাপে পড়ে যায় সিলেট। ৩ রান করে মোহাম্মদ নবির বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান সাব্বির।
তবে এর মধ্যেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার উপুল থারাঙ্গা। লঙ্কান তারকার ৪০ বলে ৫১ রানের ইনিংস থামে রান-আউটে। চার নম্বরে নেমে অধিনায়ক নাসির হোসেনও সুবিধা করতে পারেননি। তার ২০ বলে ১৮ রানের ইনিংসটি থামে রশিদ খানের ঘূর্ণিতে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দী হয়ে।
হুইটলি (১০) এবং শুভাগত হোম (৭) প্যাভিলিয়নে ফিরলে ম্যাচে চলে আসে টান টান উত্তেজনা। বলের সাথে রান তাড়ার লড়াই চলতে থাকে। উইকেটকিপার নুরুল হাসান ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ আবারও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। শেষ পর্যন্ত ১ বল বাকী থাকতে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান নুরুল।
এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। দলীয় ৩৬ রানে নাসিরের বলে ইমরুল কায়েস (১২) বোল্ড হয়ে গেলে চাপে পড়ে যায় মোহাম্মদ নবির দল। মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে ওপেনিংয়ে নামা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান লিটন দাসকে (২১) ফেরান তাইজুল ইসলাম। এই স্পিনারের দ্বিতীয় শিকার ইংলিশ তারকা ব্যাটসম্যান জশ বাটলার (২)।
জাতীয় দলে বিস্মৃত হয়ে যাওয়া অলক কাপালি ১৯ বলে ১ চার ২ ছক্কায় ২৬ রানে স্যান্টকির বলে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দেন। অধিনায়ক মোহাম্মদ নবিও বড় স্কোর করতে পারেননি। মাত্র ৫ রান করে তিনি স্যান্টকির দ্বিতীয় শিকার হন। তবে তিন নম্বরে নামা মারলন স্যামুয়েলস উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালিয়ে খেলছিলেন । প্ল্যাঙ্কেটের শিকার হওয়ার আগে তার সংগ্রহ ৪৭ বলে ২ চার ৩ ছক্কায় ৬০ রান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৫ রান তোলে কুমিল্লা।