• রোববার , ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

সুন্দরী বই বিক্রি নিয়ে তুলকালাম


প্রকাশিত: ৩:৫৪ পিএম, ২৫ জুলাই ১৫ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫১ বার

13195বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: সুন্দরী বই বিক্রি নিয়ে তুলকালাম চলছে ঢাকা ও শৈলকূপায়।ঘটনার নেপথ্যে সংঘবদ্ধ মারোয়ারী ও আদম পাচারকারী চক্রের যোগসাজশ চিহ্নিত হলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি।এ ঘটনার জের ধরে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় প্রতারক স্বামীর বিচারের দাবীতে প্রেসক্লাব শৈলকুপায় সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল  সকাল ১১টায় চৌরাস্তার মোড়ে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অসহায় গৃহবধু সুমী সাহা (২২)। এসময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, তার বাবা শৈলকুপা পৌর এলাকার কবিরপুর গ্রামের ফল ব্যবসায়ী দারিদ্র্য সঞ্জয় সাহা ও তার ছোট বোন ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী মুমু সাহা।

লিখিত বক্তব্যে সুমী সাহা বলেন, ৩ বছর পূর্বে কবিরপুর গ্রামের সুভাষ সাহার ছেলে সুমন সাহার সাথে ধর্মীয় রীতিতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর পরই স্বামীর সাথে চাকুরির উদ্দেশ্যে ঢাকা আশুলিয়ার জামগড়াইল নামক এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে উঠে। উভয়ে সেখানে মদিনা সোয়েটার ফ্যাক্টারীতে চাকুরী শুরু করে। এরপর থেকে মাঝে মধ্যেই তার স্বামী সুমন সাহা তার ও তার বাবার কাছে যৌতুকের টাকা দাবী করতো। তার বাবা যৌতুকের টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় সুমন মাঝে মধ্যেই তার উপর শারিরিক ও মানষিক নির্যাতন করতো।

বিয়ের সময় স্বামী সুমন তার বাবার কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে এককালিন নগদ ১ লাখ টাকা ও ১ ভরি স্বর্ণের গহনা নেয়। এরপরও মাঝে মধ্যে সে যৌতুকের দাবীতে তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে এবং তাকে পাচার করে দেয়ার হুমকি ধামকি দেয়। বিয়ের পর থেকেই কলহের মধ্যদিয়ে আশুলিয়া বাসায় এভাবে তাদের সংসার জীবনের ৩ বছর পার হয়ে হয়।

পরবর্তীতে আশুলিয়া ভাড়াটিয়া বাসায় তার স্বামীর বন্ধুরা ও অপরিচিত লোকজন প্রায়ই আকস্মিক যাতায়াত শুরু করে। লিখিত বক্তব্যে সুমী সাহা আরো বলেন, তার স্বামী সুমন সাহার বন্ধু আশুলিয়ায় অবস্থানকারী অন্য ধর্মালম্বী মাগুরা জেলার বিনোদপুর গ্রামের জালালের ছেলে  জিহাদের কাছে পাচারের উদ্দেশ্যে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে পালিয়ে যায়।

জিহাদ তাকে একটানা ৩ দিন ওই এলাকার স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বাড়ীতে জোর পূর্বক আটকিয়ে রেখে নির্যাতন চালাতে থাকে। পরবর্তীতে ঢাকার আশুলিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় সুমীর বাবা সঞ্জয় সাহা তাকে উদ্ধার করে নিজ বাড়ী শৈলকুপাতে নিয়ে আসে। তার বাবা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক সামান্য ফল ব্যবসায়ী। অভাব অনটনে কোনরকমে সংসার চালায়। সুমী সাহা প্রতিকার চাইতে শৈলকুপা থানায় গেলে তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে। সম্মেলনে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।