সিলেটে ১০ লাখ পানিবন্দি
সিলেট প্রতিনিধি : টানা বৃষ্টিপাত ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে দ্বিতীয় বারের মতো বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সিলেট। এ বন্যা পরিস্থিতির কোথাও উন্নতি ও কোথাও অবনতি হয়েছে। দুদিন ধরে বৃষ্টিপাত কমায়, কমছে নদীর পানিও। ফলে উজান এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আর ভাটি অঞ্চল দিয়ে পানি নামতে থাকায় নিম্নাঞ্চলে কিছুটা অবনতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) থেকে শুক্রবার (২১ জুন) দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়ায় সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কমেছে নদ-নদীর পানি।
এদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেওয়া তথ্য মতে, সিলেটের প্রধান দুটি নদী সুরমা ও কুশিয়ারার কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আগে থেকে অনেকটা কমেছে পানি। দ্বিতীয় দফার বন্যায় সিলেটে ১০ লাখ ৪৩ হাজার ১৬১ জন মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে নগরীতে বন্যা আক্রান্ত হয়েছে ৬০ হাজার মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য মতে, শুক্রবার দুপুর ১২টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর অমলসীদ পয়েন্টে ৫৫ সেন্টিমিটার ও শেওলা পয়েন্টে পানি ৫ সেন্টিমিটার এবং একই নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ১০৩ ও শেরপুর পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শুক্রবার (২১ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সিলেট নগরীর ২৯টি ওয়ার্ডসহ ১৩টি উপজেলায় ১০ লাখ ৪৩ হাজার ১৬১ জন মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৯টি ওয়ার্ডের ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। ৭১৩টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন ২৮ হাজার ৯২৫জন। ১৩টি উপজেলায় ১৫৫২টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, গোলাপগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, বিশ্বনাথ ওসমানী নগর প্লাবিত হয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ২০ মিলিমিটার। গতকাল দুপুর থেকে কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি।