সিলেটে তদন্তে গাফিলতি হয়রানির কবলে অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী ব্যবসায়ী
স্টাফ রিপোর্টার : যথাযথ তদন্ত না করায় অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী ফেরদৌস আহমদ (৩৪) নামের এক ব্যবসায়ী হয়রানির শিকার হয়েছেন সিলেটের কোতয়ালী মডেল থানা এলাকায়। এ ঘটনার সতত্যা স্বীকার করেছেন ওই থানার ওসি গৌসুল হোসেন। তিনি অনলাইন দৈনিক জাতিরকন্ঠকে বলেছেন, আমরা কথিত মাদক ব্যবসায়ীর কাছে কোন মাদক না পাওযায় অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী ফেরদৌস আহমদ (৩৪), তার ভাতিজা আফসার ও কথিত মাদক ব্যবসায়ীকে (ওসি নাম বলতে পারলেন না) ৮৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জরিমানা করে ছেড়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কথিত মাদক ব্যবসায়ী সিলেটের বন্দরবাজার এলাকার বেশ পরিচিতি। বন্দর বাজার এলাকার অভিভাবকরা মাদকের থাবায় জর্জরিত অবস্থা। কিন্তু স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ মাদক ব্যবসাীয়দের বিরুদ্ধে তেমন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছেনা।
ঘটনার দিন ১৯ অক্টোবর বিকাল আনুমানিক ৫:০০ টায় কথিত মাদক বিক্রেতা মাদক বিক্রিকালে ধরা পড়ে এলাকার লোকজনের কাছে। এসময় তাকে গনপিটুনী দেয় এলাকার লোকজন। ঘটনাস্থলের পাশে ডিউটিরত এএসআই শামসুদ্দিন খবর পেয়ে অকুস্থলে যান। ওই দারোগা তখন ঘটনাস্থলে মারামারিরতদের ধরতে সক্ষম হন। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে মাদক ব্যবসায়ীকে যথাযথভাবে চিহ্নিত করেননি। এর নেপথ্যে কি রয়েছে তা ওই এলাকার ফাঁড়ির ইনচার্জ ও দারোগা শামসুদ্দিনরা ভাল জানতে পারবেন। এ সম্পর্কে ফাঁড়ির ইনচার্জ বেনু দেব জানান, তিনি ফোর্স মারফত তিনজনকে কোতয়ালী মডেল থানায় সোপর্দ করেছেন। কিন্তু তিনি কেন মাদক ব্যবসায়ীকে সনাক্ত করলেন না বা করার চেষ্ঠা করলেন না তা সে-সম্পর্কে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী ফেরদৌস আহমদ স্থানীয় পত্রিকায় এক বিবৃতিতে জানান, ওইদিন তিনি বাজার সদাই করে বাসায় ফেরার পথে রংমহল টাওয়ারের সামনে কিছু মানুষের হৈহুল্লার দেখে দাড়ান। পরবর্তীতে জানতে পারি একজন মাদক ব্যবসায়ীকে স্থানীয় জনগণ ধরে গণধোলাই দিচ্ছে। তরুণ সমাজে মাদকের জঘন্য প্রভাব জেনে তিনিও ওই মাদক ব্যবসায়ীকে উত্তম মাধ্যম দেন। পরে ওই মাদক ব্যবসায়ীকে নিয়ে আমার ভাতিজা আফসারসহ বন্দরবাজার পুলিশফাঁড়িতে নিয়ে যাই যাতে করে সমাজ বিনষ্টকারী এই লোকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়।
বন্দর ফাঁড়িতে যাবার পর ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ বেনু দেবের সামনে এই মাদক ব্যবসায়ী উল্টা আমার ওপর অভিযোগ তুলে এই বলে যে আমি নাকি এই মাদক ব্যবসায়ীকে অকারণে মারপিট করেছি। মাদক ব্যবসায়ী গণপিটুনির আক্রোশ মিটাতে সুকৌশলে আমার উপর অভিযোগ তুলে যে তাকে আমরা অকারণে মারধর করেছি। পরে ঘটনা কি তা জানার জন্য এবং সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমি এবং ভাতিজা আফসারকে কোতোয়ালি মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে এই মাদক ব্যবসায়ীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট প্রমাণিত হওয়ায় পরদিন কোর্টের মাধ্যমে আমি এবং ভাতিজা আফসারকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে দেখি স্থানীয় কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে আমাকে মাদক ব্যাবসায়ী আখ্যায়িত করে ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশনা করেছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। যার প্রভাব আমার ব্যক্তিজীবন,সামাজিক জীবন এবং আমার পরিবারের মানসম্মানের উপর আঘাত এনেছে।
আমি সাংবাদিক ভাইদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি আপনাদের পবিত্র কলমের কালি সব সময় সত্য এবং বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশনের জন্য সুতরাং ঘটনা প্রবাহ সত্যতা যাচাই করে সংবাদ পরিবেশনের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।