‘সিটিং চিটিং সার্ভিস’ সরকার হার্ডলাইন থেকে হালকা লাইনে!
স্টাফ রিপোর্টার : সরকার হার্ডলাইন থেকে ফের হালকা লাইনে! যদিও সিটিং চিটিং সার্ভিসপন্থিদের দৌরাত্ম কমে হালকা হয়ে আসছিল। এরই মাঝে আকস্মিকভাবে সরকার সিটিং চিটিং পন্থিদের ১৫ দিন সুযোগ দেয়ায় নানা রহস্য সৃষ্ঠি হয়েছে। বিষয়টি অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।
জানা গেছে, রাজধানীতে গণপরিবহনে ‘সিটিং সার্ভিস’ বন্ধের সিদ্ধান্ত ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান এলেনবাড়িতে বিআটিএর সদর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।
এর আগে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে পরিবহন মালিক, পরিবহন বিশেষজ্ঞ, যাত্রী ও নাগরিক প্রতিনিধি এবং বিআরটিএ চেয়ারম্যান-সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, আগামী ১৫ দিন সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। এই সার্ভিস চালু থাকবে। ১৫ দিনের মধ্যে সিটিং সার্ভিসকে কিভাবে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা যায় তা নিয়ে পর্যালোচনা হবে।
তিনি বলেন, জনদুর্ভোগ কমাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৫ দিন সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হলেও; অন্য বাসগুলোর বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে তা অব্যাহত থাকবে। সম্প্রতি ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ১৫ এপ্রিলের পর থেকে সিটিং সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দেয়। গত রোববার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন শুরু হয়।
পরে গত চার দিন ধরে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বচসা- মারামারির ঘটনা ঘটছে। অনেক মালিক রাস্তায় গাড়ি বের করেননি। এ নিয়ে যাত্রীরা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন। ‘সিটিং সার্ভিস’ বন্ধের পর জনভোগান্তির প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ওই সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার জন্য বৈঠক করার নির্দেশনা দেন।