সাপের বিষ চোরাকারবারীদের আস্তানায় গোয়েন্দাদের হানা-
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীতে জাল নোট, জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম এবং সাপের বিষ বিক্রির নামে প্রতারণায় জড়িত মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল সোমবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. আবু হানিফ (চেয়ারম্যান), মো. আফতাব আলী, মো. নজরুল ইসলাম, মো. মুক্তার হোসেন এবং মো. রহিচ উদ্দিন। গ্রেপ্তারকৃত অপর পাঁচজনের পরিচয় জানা যায়নি।
আব্দুল বাতেন জানান, গতকাল সোমবার রাজধানীর কুড়িল বাসস্ট্যান্ড থেকে ৫০ কোটি টাকা মূল্যের ১২ পাউন্ড সাপের বিষসহ ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের বিমানবন্দর জোনাল টিম। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তারা চোরাই পথে সাপের বিষ আমদানি করে বিভিন্ন ওষুধ কম্পানিতে সরবরাহ করে।
তারা নিজেরাই ক্রেতা-বিক্রেতা সেজে প্রকৃত ক্রেতার কাছে বিষগুলো বিক্রির মাধ্যমে প্রতারণা করত। তিনি আরো জানান, ওই পাঁচজনের কাছ থেকে একটি ফল রাখার বাক্সে ছয়টি স্বচ্ছ কাঁচের জারের ভেতর দুটি কৌটায় বাদামি রংয়ের তরল জাতীয় পদার্থ, দুটি কৌটায় সাদা রংয়ের পাউডার জাতীয় পদার্থ এবং আরো দুটি কৌটার মধ্যে নীল পাউডার সাদৃশ্য পদার্থ পাওয়া যায়।
আব্দুল বাতেন জানান, প্রত্যেকটি কৌটার ওপরে হলুদ কাগজে কালো রংয়ে ইংরেজিতে ‘রেড ড্রাগন কোম্পানি ইন ফ্রান্স, কোড নম্বর-৮০৯৭৫, কোবরা স্নেক পয়জন অব ফ্রান্স, কেয়ারফুলি হ্যান্ডেলিং’ লেখা ছিল। এ ছাড়াও এলিয়ন এ১৫ মডেলের একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো গ-২১-১৭১০) উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে জাল নোট, নোট তৈরির সরঞ্জামসহ পাঁচজনকে আটক করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান আব্দুল বাতেন। তিনি জানান, একটি মুদ্রা জালিয়াতচক্র রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় কারখানা গড়ে তুলেছিল। গতকাল সোমবার সেখানে অভিযান চালিয়ে জালিয়াতচক্রর পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জাল নোট ও জালিয়াতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।