সাকিব-তামিমের দৃঢতায় হারলো উইন্ডিজরা
আর এইচ মানব : সাকিব-তামিমের ব্যাটিং তান্ডবের পর নাজমুল অপুর শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতায় ফিরেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার লডারহিলে ক্যারিবিয়ানদের ১২ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। টস হেরে প্রথম ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৭১ রান তুলে বাংলাদেশ। জবাবে ৯ উইকেটে ১৫৯ রান তুলতে সমর্থ হয় উইন্ডিজ। ৪৪ বলে ৭৪ রান করে ম্যাচ সেরা তামিম ইকবাল।
শেষ ওভারে উইন্ডিজের দরকার ছিল ১৫ রান। অতীত অভিজ্ঞতায় মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকলেও তরুণ নাজমুল অপুর ওপর নতুন করে আস্থা অধিনায়ক সাকিবের। মাত্র ২ রান খরচায় বাজিমাত এই বাঁ-হাতির। টানা ৫ হারের পর ১২ রানে টি-টোয়েন্টি জেতে বাংলাদেশ।জয়ের ভীত অবশ্য গড়ে দিয়েছিলেন ব্যাট হাতে তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসান। যদিও লডারহিলে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো ছিলো না। বদলি ওপেনার লিটন দাস যেমন নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তেমনি ব্যাটিং অর্ডার বদলে সফল হননি মুশফিক।
চার নম্বরে নেমে সৌম্য সরকার কিছুটা সময় নিলেও থিঁতু হতে পারেননি। বাংলাদেশের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৪৮। পাওয়ার প্লে’তে রান মাত্র ৩৬। তবে পাঁচ নম্বরে নেমে ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন সাকিব। তামিম ইকবালের সঙ্গে উইন্ডিজ বোলারদের উপর তান্ডব চালান টাইগার অধিনায়ক। গড়ে তুলেন ৯০ রানের পার্টনারশিপ। ফিফটি পেয়েছেন দু’জনই।
৩৫ বলে ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি ফিফটি পেয়েছেন তামিম। ৪৪ বলে ৭৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন এই বাঁ-হাতি। ৩৮ বলে সাকিবের ৬০ রানের ঝড়ো ইনিংসের পর মাহমুদুল্লার ১৩’তে ভর করে ১৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ।
সমতায় ফেরার লড়াইয়ে শুরুতেই উইন্ডিজ শিবিরে আঘাত হানেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। এভিন লুইসের পর আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগে আন্দ্রে রাসেলকেও হতাশ করেন এই বাঁ-হাতি। ক্যারিবিয়ানদের স্কোর তখন দুই উইকেটে ৩৩। এরপর, মারলন স্যমুয়েলস-দিনেশ রামাদিন-কার্লোস ব্রাথওয়েটকে থিঁতু হতে দেননি সাকিব-রুবেলরা।
তবে ক্যারিবিয়ানদের লড়াইয়ে রাখেন রভম্যান পাওয়েল আর আন্দ্রে ফ্লেচার। ৫৮ রানের জুটি ভাঙ্গেন নাজমুল অপু।শেষ ২ ওভারে দরকার ৩১। ১৯-তম ওভারে ১৬ রান দিয়ে টাইগারদের বিপাকে ফেলেন মোস্তাফিজ। কিন্তু, ঠাণ্ডা মাথায় শেষ ওভারে দলের জয় নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ। বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে যা তৃতীয় জয় টাইগারদের।