সাইমনের শুক্রানু ব্যবসা-জারজ সন্তান তৈরীর প্রক্রিয়া কিনা?
ডেস্ক রিপোর্ট: বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত ৮০০ জনকে শুক্রাণু দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন সাইমন ওয়াটসন নামের এক ব্যাক্তি। যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা সাইমন ওয়াটসন দাবি করেছেন, গত দেড় দশকে তিনি অন্তত ৮০০ সন্তানের পিতা হয়েছেন। ৪১ বছর বয়সী পেশাদার শুক্রানুদাতা মি. ওয়াটসন ১৬ বছর ধরে শুক্রাণু দিয়ে আসছেন। তবে এই কাজের জন্য তার কোন লাইসেন্স নেই।
সাইমন ওয়াটসন এর এই শুক্রানু ব্যবসা কতটা বৈধ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। জাতিরকন্ঠের একাধিক পাঠক ফোন করে জানিয়েছেন, এটা জারজ সন্তান তৈরীর প্রক্রিয়া কিনা? বিষয়টি নিয়ে আমরা অনুসন্ধান শুরু করেছি। শিগগির এনিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন তৈরী করা হবে।
মি. ওয়াটসন বলছেন, এ পর্যন্ত আমি অন্তত ৮০০ সন্তানের পিতা হয়েছি। এভাবে আমি যত বেশি সম্ভব সন্তানের পিতা হতে চাই, যাতে আমার রেকর্ড আর কেউ ভাঙ্গতে না পারে। প্রতি তিনমাস পরপর নিজের সুস্থতার বিষয়ে তাকে পরীক্ষা করাতে হয়। সেই রিপোর্ট তিনি ইন্টারনেট এবং সামাজিক মাধ্যমে তুলে দেন, যাতে তার ক্লায়েন্ট তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
তার বেশিরভাগ ক্লায়েন্ট ইন্টারনেটের মাধ্যমে আসে বলে তিনি জানান। শুক্রাণু দেয়ার জন্য তিনি পঞ্চাশ পাউন্ড করে সার্ভিস চার্জ নেন। নারীরা তার কাছ থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করে বেসরকারি ক্লিনিকে সন্তান জন্ম দেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
যুক্তরাজ্যে কৃত্রিম গর্ভধারণের বিষয়টি কড়াকড়ি ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ কারণে অনেকে এই প্রক্রিয়ার দারস্থ হন।নিয়ম না মেনে সন্তান ধারণে অনেক জটিলতা তৈরি হয়। তা সত্ত্বেও অনেকে সন্তান ধারণের জন্য সাইমন ওয়াটসনের মতো দাতাদের শরণাপন্ন হন।