সরকার সব বিক্রি করে দিয়েছে -খালেদা
স্টাফ রিপোর্টার ; বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করে শেখ হাসিনা রক্ষা পাবে না। শেখ হাসিনা দেশের কিছুই রাখেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সব কিছু বিক্রি করে দিয়েছে। দেশবিরোধী চুক্তি করে অতীতে কেউ রক্ষা পায়নি। শেখ হাসিনাও পাবে না। অপশাসনের বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়াবার জন্য প্রস্তুত।
গতকাল শনিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। চট্টগ্রামে পুলিশের হাতে নিহত ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরুর পরিবারকে সমবেদনা ও আর্থিক সহযোগিতা করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, দেশ বিক্রি করার উদাহরণ পৃথিবীর ইতিহাসে আছে। কেউ রক্ষা পায়নি। ভবিষ্যতে হাসিনা মনে করে না যে, যাদের কাছে বিক্রি করলাম তেনারা তাঁকে বাঁচাতে আসবে। তাঁরা বাঁচাতে আসবে না, যখন মানুষ জেগে উঠবে। এ দেশের মানুষ অলরেডি এরই মধ্যে ফুঁসে উঠেছে, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা কখন মানুষ রাস্তায় বের হবে এবং এই অন্যায়-জুলুম অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।
খালেদা জিয়া বলেন, আজ আওয়ামী লীগ এবং হাসিনার হাত বাংলাদেশের মানুষের রক্তে রঞ্জিত। হাসিনা প্রতিনিয়তই সারা বাংলাদেশের মানুষ খুন করছে, হত্যা করছে। হাসিনার বিচার এই দেশের মাটিতেই হবে। আজীবন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্নের জন্য সে এর মধ্যে অনেক কাজ করেছে। এখনো এদেশের কিছুই রাখেনি, সবই বিক্রি করেছে। বাকি যা আছে তাও বিক্রি করে আসবে।
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা নূরুল আলম নূরুকে মেরেই ক্ষান্ত হয়নি। ওরা বহু মানুষকে গুম করেছে, খুন করেছে। র্যাব- পুলিশ দিয়ে মানুষ হত্যা করছে। কারো জীবনের নিরাপত্তা নেই। তাদের বিচার এদেশের মাটিতে জনগণ করবে।
তিনি বলেন, নুরুসহ যারা স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে গুম-খুন হয়েছেন তাদের পরিবারকে জাতীয়তাবাদী শক্তি সহযোগিতা করবে। তাদের পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়াসহ যাবতীয় খরচ বহন করবে বিএনপি।
বিএনপি প্রধান বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নয়। বর্তমান ভোটার বিহীন সরকার জনগণের সরকার নয়। যারা তরুণ প্রতিবাদী শিক্ষিত তাদের ধরেই গুম-খুন করা হচ্ছে। তাদের রক্ত বৃথা যাবে না। জবাব একদিন শেখ হাসিনার দিতেই হবে দুনিয়াতেও, আখিরাতেও।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, মীর নাসির, শামসুজ্জামান দুদু, গিয়াস কাদের চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, চট্টগ্রাম বিএনপি নেতা ডা. শাহাদত হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।