‘সম্প্রচার আইন ব্রডকাস্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা দেবে’
স্টাফ রিপোর্টার : সম্প্রচার আইন পাস হলে ব্রডকাস্ট মিডিয়ায় কর্মরতদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত সম্প্রচার আইন ব্রডকাস্ট মিডিয়ার সাংবাদিক ও কর্মীদের আইনি সুরক্ষা দেবে।’ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বেঙ্গল মিডিয়া স্টুডিওতে এক সেমিনারে বক্তৃতাকালে তিনি একথা বলেন। বিশ্ব টেলিভিশন দিবস উপলক্ষে ব্রডকাস্ট মিডিয়া সেন্টার (বিজেসি) এবং বেসরকারি চ্যানেল আরটিভি যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার ব্রডকাস্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের চাকরির নিরাপত্তা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ শাসনামলে বাংলাদেশের গণমাধ্যম সেক্টরে এক বিরাট বিপ্লব ঘটে গেছে। তথ্যমন্ত্রী ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার বর্তমান সংকট প্রসঙ্গে বলেন, এই শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের হার কমে যাওয়াসহ কিছু সমস্যাও দেখা দিয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে এখন সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সাংবাদিকদের কল্যাণের জন্য আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তবে, সংশ্লিষ্ট সবার পক্ষ থেকে আমাকে সার্বিক সমর্থন দিতে হবে। সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ, তাদের সুরক্ষা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।’সম্প্রচার মাধ্যমের ডিজিটালাইজেশন প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, এই সেক্টরের ডিজিটালাইজেশনের পর দেশের এই মাধ্যম এবং এর কর্মীদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের পর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ সেক্টরে কোনও রকম অনিয়ম দেখা গেলে সরকার ব্যবস্থা নেবে। বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ হয়েছে। তাছাড়া সম্প্রচারে যাওয়ার তারিখ অনুযায়ী বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলগুলোর সিরিয়াল সংরক্ষণ করছে ক্যাবল অপারেটররা।
সম্প্রচার মাধ্যমের কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু টিভি চ্যানেল বাংলায় ডাবিং করা বিদেশি সিরিয়াল সম্প্রচার করছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। বেসরকারি টিভি মালিকদের প্রতি এ ধরনের সিরিয়াল সম্প্রচারে অনুমোদন নেওয়ার জন্য টিভি চ্যানেলগুলোর উদ্দেশ্যে মন্ত্রণালয় সরকারের একটি আদেশ জারি করেছে। বিষয়টি দেখার জন্য শিগগিরই একটি প্রাক-প্রচার নিরীক্ষণ কমিটি গঠন করা হবে। আমরা ইতোমধ্যে গণমাধ্যমের কল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছি। এর ফলে গণমাধ্যমে মোটামুটি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বেসরকারি টিভি কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘টেলিভিশন জাতি গঠনের অন্যতম মাধ্যম। তরুণ প্রজন্মের জন্য দেশপ্রেম ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠান তৈরি করুন। কারণ, তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ। সমাজকে বাঁচাতে শিক্ষার্থীদের মননে মানবিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমের প্রবেশ ঘটাতে হবে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন–সিনিয়র সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিজেসির কোষাধ্যক্ষ মোজাম্মেল বাবু, বিজেসির সভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজা ও সিনিয়র সাংবাদিক নইম নিজাম।