• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

সব দাবি মঞ্জুর এবার চাই পুলিশ সেবা!


প্রকাশিত: ১:৪২ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৩০ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশের সব দাবি মঞ্জুর করলেন এবার পুলিশ যেনো সেবা দেয় রাষ্ট্রের জনগনের জন্যে। গতকাল দাবি মেনে নেয়ার পর আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক বসেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। সেখানে পুলিশের জন্য মেডিক্যাল কলেজ, স্বতন্ত্র পুলিশ বিভাগ, আরও এক লাখ জনবল নিয়োগ, আইজিপি পদকে ‘চিফ অব পুলিশ’ করা ও ফোর স্টার জেনারেল পদমর্যাদায় উন্নীত করার দাবি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

পুলিশের দাবি নীতিগতভাবে মেনে নেয়ার পর এ দাবি জনগনের।পুলিশের বড় দাবি ছিল অবসরের পরও যেন পুলিশ সদস্যদের আজীবন পারিবারিক রেশন (২ সদস্যের পরিবার) সুবিধা দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন খাতে পুলিশ সদস্যদের ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাবেও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন তিনি। পুলিশের জন্য স্বতন্ত্র মেডিক্যাল কোর, পুলিশের জন্য আধুুনিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স’ও তৈরির জন্য জমি দেখতে বলেছেন তিনি।

রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে কল্যাণসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সভায় পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের পক্ষ থেকে নানা দাবি উত্থাপন করা হয়। রাজারবাগ পুলিশ টেলিকম অডিটোরিয়ামে সভাটি দুপুর দেড়টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলে। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

সভায় কুড়িগ্রাম জেলার এএসআই মো. মাহবুবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুলিশ সদস্যদের জন্য আজীবন রেশন সুবিধা দেওয়ার দাবি জানান। তিনি পরিবারের অন্তত দুজন সদস্যকে রেশন সুবিধার আওতায় আনার কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী এদাবি মেনে নেন। বর্তমানে কর্মরত অবস্থায় পুলিশের যে কোনো সদস্য তার পরিবারের সর্বোচ্চ ৪ ব্যক্তির জন্য রেশন সুবিধা পেয়ে থাকেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কনস্টেবল কারুন্নাহার ক্রীড়াক্ষেত্রে পুলিশের নানা সাফল্যের তথ্য তুলে ধরে বলেন, পুলিশের কোনো ক্রীড়া কমপ্লেক্স নেই। তিনি একটি আধুনিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স স্থাপনের দাবি জানান প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সরকারপ্রধান এ দাবি মেনে নিয়ে ক্রীড়া কমপ্লেক্সের জন্য জমি দেখতে বলেন।স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) এসআই কামরুল আলম বলেন, সরকারি নানা কাজে পুলিশ সদস্যরা ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন। কিন্তু এ খরচ মেটাতে অনেক সময় তাদের হিমশিম খেতে হয়। তিনি পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ ভাতার দাবি করেন। প্রধানমন্ত্রী এ দাবিও মেনে নেন।

ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার ওসি আবদুল আহাদ খান বলেন, চাকরিরত অবস্থায় পুলিশ সদস্যরা মারা গেলে বর্তমানে ৫ লাখ টাকা এবং গুরুতর আহত হলে এক লাখ টাকা পান। এ টাকা যথাক্রমে ৮ ও ৪ লাখ টাকা করার দাবি জানান তিনি। এ ছাড়া দায়িত্বরত অবস্থায় এবং অভিযানে গিয়ে মারা গেলে যথাক্রমে ১৫ লাখ ও ৮ লাখ টাকা দেওয়ারও দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রী এ দাবি বিবেচনার আশ্বাস দেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক এএসপি পুলিশে আলাদা মেডিক্যাল কোর করার দাবি জানান। তিনি পুলিশের বিভাগীয় হাসপাতালগুলোয় পাঁচ শয্যার আইসিইউ ও জেলা হাসপাতালগুলোয় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম নিশ্চিতেও দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রী পুলিশের জন্য স্বতন্ত্র মেডিক্যাল কোর করা হবে জানিয়ে অন্যান্য দাবি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান।কল্যাণসভায় পুলিশের বিভিন্ন খাতে ভাতা বৃদ্ধির দাবি তোলা হলে তাও মেনে নেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে পুলিশে বিউগল ভাতা আছে ১৫ টাকা, এটি বাড়িয়ে ৭৫ টাকা করা হয়। এ ছাড়া ধোলাই ভাতা ও ড্রাইভিং ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেন শেখ হাসিনা।