কারখানার মান নিয়ন্ত্রক (পোশাক) মাহাদী হাসান জানান, অসুস্থদের মধ্যে ৩১ জনকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ২৫ জনকে ফুলবাড়িয়ার আফনান হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এবং ১০ জনকে প্রাইম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আরো অন্তত অর্ধশতাধিক শ্রমিককে অন্যান্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এনাম মেডিকেলের ভাইস প্রিন্সিপাল ও মনোরোগ বিভাগের অধ্যাপক দেওয়ান আব্দুর রহীম বলেন, এটা কোনো রোগ নয়, আতঙ্কগ্রস্ত হয়েই এমনটা হয়েছে। এ ধরনের সমস্যা বেশি মেয়েদের হয়। ডাক্তারি ভাষায় একে বলে ‘ম্যাস হিস্ট্রিরিয়া’।
কারখানার অপারেটর হযরত আলী বলেন, কারখানাটিতে প্রায় ছয় হাজার শ্রমিক রয়েছে। এরইমধ্যে কারখানার বর্ধিত ভবনের কাজ চলছে।বর্ধিত অংশের জমিতে একসময় শ্মশান ছিল। শ্রমিকরা এ কথা শোনার পর থেকেই একের পর একজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে, বলেন মান নিয়ন্ত্রক মাহাদী।
ফিরোজা বেগম, শামসুন্নাহার, হাবিবুল্লাহ, পারুল, হাসিনা, রোজিনা, মাকসুদা মঞ্জুআরা, হামেদা খুতুনসহ চিকিৎসাধীন বেশ কয়েকজন শ্রমিক জানান, সকালে কারখানায় কাজ শুরু করার এক পর্যায়ে অনেকেই টয়লেটে গিয়ে বেরিয়ে বুক চেপে ধরে বসে পড়ে। অনেকে কাজ করার এক পর্যায়ে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। কেউবা সহকর্মী অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে অসুস্থ হয়ে পড়ে।অসুস্থ শ্রমিকদের স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
কারখানার পরিচালক এস এম সাদউল্লাহ বলেন, শ্রমিকদের আতঙ্কের কারণে গত শনিবার কারখানায় মিলাদ দেওয়া হয়েছে। তবে হঠাৎ শ্রমিক অসুস্থ হওয়ার ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এ ঘটনায় কারখানায় একদিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।