শুন্য হাতে বাসায় ফিরলেন কেন খালেদা জিয়া…
কাজী শওকত হোসেন : বিএনপি ৯২ দিন সরকার পতনের আন্দোলনের নামে জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে সহিংসতা করে ১৫০ জন নিরীহ, নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে পেট্রলবোমা মেরে পুড়িয়ে হত্যা করে, অসংখ্য মানুষকে আহত করে, অনেক গাড়ি পুড়িয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকার অর্থসম্পদ ধ্বংস করে, ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে তথাকথিত আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে না পেরে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়ে তার রাজনৈতিক কার্যালয় ছেড়ে শূন্য হাতে গুলশানের বাসায় ফিরে গেলেন খালেদা জিয়া। সরকার ঘোষিত ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়ে তার দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে তিনি নিজে তার দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে ব্যাপকভাবে নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণের চেষ্টা করেছেন। তিনি সংবাদ সম্মেলন করে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। স্বভাবসুলভভাবে খালেদার গাড়িবহর দেখে ক্ষুব্ধ মানুষ কালো পতাকা দেখিয়েছে, অন্তত তিন জায়গায় হামলা করেছে। তার কারণে খেটে খাওয়া মানুষ দিন এনে দিন খায় তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিধায় সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা মিলে তার ওপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তিনি ও তার দল সব সময় সরকারকে দোষারোপ করে থাকেন তার নিরাপত্তা কর্মীরা সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছেন। একজন মানুষের পায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি তুলে দেওয়ার দৃশ্য টিভিতে সবাই দেখেছেন। তার স্বামী জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে গিয়ে ছাত্রদের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। বিএনপি সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে তথাকথিত আন্দোলন করতে গিয়ে দেশবিরোধী কর্মকা-ে লিপ্ত হয়ে গণতান্তিক চিন্তা-চেতনার চর্চার বাইরে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছিল, দলটি সেখান থেকে ফিরে আসার পথ খুঁজছিল। সরকার সিটি নির্বাচন করার প্রত্যয় ঘোষণা করে। নির্বাচন কমিশন ২৮ এপ্রিল ভোটগ্রহণের সব আয়োজন সম্পন্ন করে। দেশে শান্তি-শৃক্সখলা ফিরিয়ে আনার স্বার্থে বিএনপিকে সহিংসতা থেকে বেরিয়ে আসতে সিটি নির্বাচন দিয়ে সরকার দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে। বিএনপি অতীতের ভুল থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে মানুষের কাছে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলো আবারও। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মানুষ আশান্বিত হয়েছিল। নির্বাচনের দিন নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করা উচিত ছিল। তারপর নির্বাচনের শুরু থেকে তাদের দৃষ্টিতে যেসব অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে বলে বলা হচ্ছে তার প্রমাণসহ সব বিষয়ের চিত্র তুলে ধরে দেশবাসীকে অবহিত করতে পারলে মানুষ তাদের কথায় আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে পারত। তারা পূর্বপরিকল্পপনা অনুযায়ী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন, তার প্রমাণ স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও এক নেতার সঙ্গে টেলিফোন সংলাপ এবং তাবিথ আউয়াল ও মওদুদ আহমদের সংলাপ। নির্বাচন বর্জনের আলোচনা প্রমাণ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও বর্জন ইসু তৈরি করাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল। নির্বাচন শুরু হওয়ার তিন ঘণ্টা পরই প্রথমে চট্টগ্রামে পরে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়ে আরেকবার হঠকারী সিদ্ধান্ত দিয়ে তারা প্রমাণ করল জনগণের রায়ের প্রতি তারা বিশ্বাসী নয়।
মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তারা তাদের আন্দোলনের দাফন হওয়া কর্মসূচির নতুন ইস্যু তৈরি করা যায় কি না সেই চেষ্টা এখন করবে। তারা দেশি ও বিদেশিদের সহযোগিতা নিয়ে সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি দাবি তুলে আন্দোলনের চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করছে আবারও তা ব্যর্থতায় পর্যবেসিত হবে। তারা ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট দিয়ে তাদের সেখান থেকে সুবিধামতো সময়ে চলে আসার গোপন নির্দেশনা দিয়ে রেখেছিল। অনেক কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট দেয়নি অথচ তারা মিথ্যাচার করে আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রিসাইডিং অফিসার, সরকারদলীয় প্রার্থীর এজেন্টদের ওপর দোষারোপ করছেন তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। যদি তাদের কথা সত্যি হয় তাহলে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারের সামনে, আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে সব দখল করে ভোট দিয়ে দিল তাদের বের করে, তা কী করে সম্ভব। যেখানে প্রত্যেকের হাতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছবি তুলে রাখা খুব সহজ কাজ সেখানে প্রায় সব কেন্দ্রে টিভি ক্যামেরাসহ সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা দক্ষিণে ওয়ার্ড ৫৭, কেন্দ্র ৮৮৯, ঢাকা উত্তরে ওয়ার্ড ৩৬, কেন্দ্র ১০৯৩; চট্টগ্রামে ওয়ার্ড ৪১, কেন্দ্র ৭১৯-এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি কেন্দ্রে ঢাকা ও চট্টগ্রামে গোলযোগ, অনিয়ম হয়েছে। এই নির্বাচনে প্রথমবারের মতো কোন মানুষ নিহত হয়নি। গোলযোগের কারণে দু-চারজন সামান্য আহত হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সঙ্গে সঙ্গে। মানুষ যখন উৎসবমুখর আনন্দঘন পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নির্ভয়ে ভোট প্রদান করা শুরু করেছিল ঠিক সেই সময় বিএনপি পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালো পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী। ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের মানুষ গ্রামের মানুষের তুলনায় বেশি সচেতন, তাই নিকট-অতীতের দুর্বিষহ জীবনযাপনের কথা ভুলে যায়নি কোনো সুস্থ বিবেকবান মানুষ। তাদের কর্মকা-ের কারণে আজও মানুষ ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। তারপরও তারা ঢাকা ও চট্টগ্রামে যে ভোট পেয়েছে তা বিস্ময়কর। বিএনপির প্রার্থীকে যারা ভোট দিয়েছেন তারা কতটা অমানবিক কাজ করেছেন নিজের বিবেককে একবার জিজ্ঞেস করে দেখুন। বিএনপি তিন মাস দেশবিরোধী, মানবতাবিরোধী, অর্থনীতি ও শিক্ষাজীবন ধ্বংস করেছে তারা কি ভোট পাওয়ার যোগ্য। তাদের মূল্যবান ভোট আওয়ামী লীগকে না দিয়ে অন্য প্রার্থীদের দিলেও পারতেন। বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকত তাহলে মেয়র প্রার্থী প্রত্যেকে আরও অনেক ভোট পেত। কারণ ভোট বর্জনের পর তাদের অনেক ভোটার ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেনি। যদি তারা ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসত তাহলে তাদের পরাজয়ের ব্যবধান কমে আসত ও সম্মানজনক অবস্থান থাকত। গণতান্ত্রিক মানসিকতা নিয়ে পরাজয় মেনে নিলে বিএনপি লাভবান হতো, গণতন্ত্র শক্তিশালী হতো। দল হিসেবে বিএনপির প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ত তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তারা একটি শক্ত রাজনৈতিক ভিতের ওপর দাঁড়াতে সক্ষম হতো। বিএনপির এখন দুর্বল সাংগঠনিক অবস্থা, রাজনৈতিক অবস্থান সংকটাপন্ন, বারবার ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যর্থতা কর্মীদের ওপর দারুণভাবে প্রভাব পড়েছে, নেতাকর্মীদের মধ্যে আস্থা ও সমন্বয়হীনতা বাসা বেঁধেছে। দায়িত্বশীল নেতাদের ওপর খালেদা-তারেকের অবিশ্বাস, তাদের সম্মান দেখানো শিষ্টাচারবহির্ভূত আচার-আচরণ, কাউকেই গুরুত্ব না দেওয়া, মিথ্যাচার থেকে বেরিয়ে না আসা, মা-ছেলে ব্যক্তিগত পারিবারিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠতে না পারা, ক্ষমতা হারানোর হতাশা, ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি হারানো, অকালে পুত্র হারানো, দুর্নীতির মামলায় খালেদা-তারেকের শাস্তি হওয়ার আশঙ্কা, দলীয় কর্মীদের স্বার্থ দলের স্বার্থ রক্ষা করতে না পারা, জামায়াতের ওপর নির্ভরতা, সিদ্ধান্তহীনতা, দেশবিরোধী কর্মকা- থেকে বিরত থাকা একান্তভাবে জরুরি না হলে বিএনপি ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। তাদের পরিণতি হবে মুসলিম লীগের মতো। মামলায় সাজা হলে পারিবারিক নেতৃত্বের অবসান ঘটতে পারে।
এমনিতেই বিএনপির অযোগ্য নেতৃত্ব কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কালোছায়া ভর করেছে। দেশের এবং মানুষের প্রতি তাদের দায়িত্ব ও আচরণ খুবই হতাশাজনক। দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা, মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা, কাজকর্ম, ব্যবসা-বাণিজ্যে, শিক্ষাক্ষেত্রে বিঘœ সৃষ্টি করা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মনজুর আলম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার সঙ্গে রাজনীতি থেকেও অবসরের ঘোষণা সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। এখানেও মনজুর আলম দলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা না পেয়ে অভিমান করে চলে গেলেন বলে মনে হয়। খালেদার নির্দেশে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। মনজুর আলম ভদ্রলোক সহজ সরল মানুষ বলে মনে হয়েছে। তাই খালেদা তাকে বলির পাঁঠা বানালেন, তাবিথ আউয়াল ও মির্জা আব্বাসকে একই পরিণতি বহন করতে হলো। বিএনপির জামায়াতের ওপর নির্ভরতা, নির্বাচনবিমুখতা, মানুষ হত্যা এর খেসারত বহুদিন পর্যন্ত দলটিকে দিতে হবে। এর দায়ভার কোনোভাবেই তারা এড়াতে পারবে না। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থানীয় সরকারের অধীনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে হওয়া উচিত। কারণ এই নির্বাচন নির্দলীয় বলা হলেও সব কটি নির্বাচনই দলীয় পরিচয়ে হয়ে থাকে। শুধু প্রতীক বরাদ্দে ভিন্নতা থাকে, কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থীদের মনোনয়ন দলীয়ভাবে দিতে পারে না ফলে কোনোভাবেই তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এ কারণে অর্থের অপচয় হয় অনেক বেশি, দ্বন্দ্ব-সংঘাত হয়। সাধারণ মানুষ খুবই বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ে, উন্নয়ন ব্যাহত হয় যে দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকে সেই দলের লোক না হলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হয় বিরোধী দলের নির্বাচিত প্রতিনিধি হলে উন্নয়ন করা কষ্টসাধ্য প্রশাসন তাদের কোনো পাত্তা দেয় না এ হলো বাস্তব অবস্থা, তাই সরকার চাইলে দলীয় পরিচয়ে নির্বাচন হলে জনগণ স্বাগত জানাবে, খুশি হবে, দেশ লাভবান হবে। ২৮ তারিখের নির্বাচনে যারা মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তারা তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যেসব ওয়াদা করেছেন তা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবেন আশা করি। বিশেষ করে যারা কমিশনার নির্বাচিত হয়েছেন মেয়র হিসেবে তাদের সঙ্গে নিয়ে আইনশৃক্সখলা বাহিনীকে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার সহযোগিতা করতে হবে নিরপেক্ষভাবে। কারণ অবৈধ অস্ত্র, মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বন্ধ করা জরুরি। পুলিশ ও নির্বাচিত কমিশনাররা এ ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। বর্জ্য পরিষ্কার, ড্রেনেজ সিস্টেম কার্যকরভাবে পরিষ্কার ও চালু রাখা, জলাবদ্ধতার অবসান ঘটানো, ভাঙা রাস্তাঘাট মেরামত কাজের গুণগত মান ঠিক রাখা, খেলার মাঠ তৈরি করা, ফুটপাত তৈরি ও দখলমুক্ত রাখা, সবুজ ঢাকা মানবিক ঢাকাসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা, সিটি করপোরেশন অফিস র্দুর্নীতিমুক্ত রাখা, স্বাস্থ্যসেবা, বস্তি সমস্যার সমাধান, মশামুক্ত ঢাকা, স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নত করা, রাস্তা পারাপার ঝুঁকিমুক্ত করা, জানযটমুক্ত করার বাস্তব পরিকল্পনা গ্রহণ করা, বিশুদ্ধ পানি পানের নিশ্চয়তা বিধান জরুরিভাবে বাস্তবায়ন করা দরকার। গ্যাস, বিদ্যুৎ, বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ, টেলিফোন হোল্ডিং ট্যাক্স, বাড়িভাড়া, গাড়িভাড়াসহ সব সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাগরিকদের স্বস্তি-শান্তির নিশ্চয়তা দিতে হবে। তবেই মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান নাগরিক সুবিধা দিয়ে থাকে সেখানে নাগরিকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তা নিশ্চিত করতে হবে, তাহলে ঢাকা-চট্টগ্রাম বাসযোগ্য সুন্দর পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে মর্জাদা পাবে নগরবাসী সেটাই আশা করে। নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে কথা কম বলে কাজ বেশি করলে মানুষ তাদের সম্মান বেশি করবে। অতীতে কমিশনারদের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ ছিল। আশা করি আপনারা মানুষের আস্থা-ভালবাসা, শান্তি-শৃক্সখলা বজায় রাখা নিজস্ব বাহিনী দ্বারা পরিবেষ্টিত না হয়ে মাদকমুক্ত সন্ত্রাসমুক্ত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন। মানুষকে সম্মান করলে আপনারাও সম্মানিত হবেন। মানুষের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে পাশে থাকবেন।
লেখক : কলামিস্ট