শায়েখে চরমোনাইকে বিপুল সম্বর্ধনা-জামায়াত আহলে হাদীসগংদের হত্যার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ
এস রহমান.ঢাকা: জামায়াত শিবির আহলে হাদীস কুচক্রিদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে সৌদি সরকারের মেহমান হয়ে ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফিরলেন শায়েখে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীম । এসময় শায়েখে চরমোনাইকে হযরত শাহজালাল রহ. আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাজার হাজার জনতা বিপুল প্রাণঢালা সম্বর্ধনা দেয়।
এসময় তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা আমাকে সৌদিআরবে গোয়েন্দা দিয়ে গ্রেফতার করে হত্যার ষড়যন্ত্র করে দীর্ঘদিন আটকে রেখেছিল।কিন্তু আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সৌদি সরকার তাঁদের ভুল বুঝতে পারে।পরে সৌদি ধর্ম মন্ত্রী ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করে তাঁকে রাষ্ঠ্রীয় মর্যাদায় ওমরা পালন করার ব্যবস্থা করেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নেতারা জাতিরকন্ঠকে বলেন, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই) মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ সফর ও সৌদী সরকারের মেহমান হিসেবে পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে শনিবার (১১ জুলাই) বেলা ২.৪৫ মি. হযরত শাহজালাল রহ. আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে হাজার হাজার জনতা তাকে উজ্ঞ সংবর্ধনা জানান। এ সময় বিমানবন্দর ও আশপাশের রাস্তাঘাটে এলাকায় লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
জনতার উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, তথাকথিত লা মাযহাবী এবং জামায়াতের কতিপয় লোক আমাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছিল এবং আমাকে গোয়েন্দা দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে দীর্ঘদিন আটকে রেখেছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে সব চক্রান্ত মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় সৌদীর ধর্মমন্ত্রী ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করেন এবং আমাকে রাষ্ট্রীয় মেহমানধারীসহ ওমরাহ করার ব্যবস্থা করেন। সৌদী সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে যতদিন ইচ্ছা থাকার জন্য অনুরোধ করেন এবং আমাকে ই’তিক্বাফ করার জন্য বলেন। শুধু তাই নয়, আমি পরবর্তীতে যখন ইচ্ছা আমাকে যাওয়ার জন্য দাওয়াত দেন।
এসময় ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, বর্ষিয়ান নেতা মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, হাজী আব্দুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, কেএম আতিকুর রহমান, মুফতী হেমায়েতুল্লাহ, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেনসহ কেন্দ্রীয় মহানগর এবং থানা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মুফতী ফয়জুল করীম দেশে ফেরার সংবাদ পৌঁছার পর সকাল থেকেই জনতার উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়। সময় বাড়ার সাথে সাথে ইসলামী আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড দিয়ে সংবর্ধনা জানান। এ সময় বিমানবন্দর থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে দাড়িয়ে জনতা তাকে অভিভাদন জানান।
এদিকে বিকাল ৫টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম-কে কেন্দ্রীয় অফিসে তাৎক্ষণাত এক গণসংবর্ধনা দেয়া হয়। এসময় মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদসহ কেন্দ্রীয় প্রায় সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর, ছাত্র আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন পৃথক পৃথক সংবর্ধনা জানান।