• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

শান্তিরক্ষা মিশনে আরও সেনা কর্মকর্তা পাঠাবে সরকার


প্রকাশিত: ৪:০৩ পিএম, ৩১ মে ১৫ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৪৯ বার

pm-un-www.jatirkhantha.com------------------বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা:  জাতিসংঘ সদরদপ্তর ও শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ থেকে আরও সেনা অফিসার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া, শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে বাংলাদেশি সেনা অফিসার নিয়োগের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

দেশে দেশে শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের শান্তি সেনারা। জাতিসংঘের অধীনে ১০টি শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছে বাংলাদেশের প্রায় দশ হাজার শান্তিরক্ষী। আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের অধীনে পৃথিবীর যে কোনও স্থানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুত বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি, জাতিসংঘ সদর দপ্তর ও বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনের উচ্চপদে আমাদের সেনা অফিসারদের নিযুক্তির প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। এগুলো আমাদের সফল ও বলিষ্ঠ কূটনীতিরই সাফল্য। এসব পদ আরও অধিক মাত্রায় প্রাপ্তির লক্ষ্যে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বাহিনীগুলো যে পেশাদারিত্ব আর নিষ্ঠা প্রদর্শন করেছে, তা বজায় রাখতে শান্তিরক্ষীদের প্রতি আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আপনারা অনুকরণীয় দক্ষতা প্রদর্শন করে বিশ্বের বিভিন্ন সহযোগী সংস্থা ও শান্তিরক্ষা মিশনে সুনাম ও শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন। আপনারা দেশের জন্য প্রয়োজনীয় বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করছেন, যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একই সঙ্গে বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে সে দেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা দেশের স্বাধীনতাকে তরান্বিত করেছে। আমি বিশ্বাস করি, দেশের যেকোনো প্রয়োজনেও আপনারা সেবা দিতে আপনারা সদা প্রস্তুত রয়েছেন।’

অনুষ্ঠানে শহীদ ৬ শান্তিরক্ষীর পরিবার এবং ১০ আহত শান্তিরক্ষীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

পরে কঙ্গো আর মালিতে অবস্থানরত শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের সদস্যদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।