• বুধবার , ১৫ মে ২০২৪

শাজনীন হত্যা: আপিল শুনানি শেষ-রায় যেকোনো দিন


প্রকাশিত: ৪:০৬ পিএম, ১১ মে ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪১ বার

সুপ্রীমকোর্ট রিপোর্টার   :    শাজনীন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের আপিলেও পর 00শুনানি শেষ হয়েছে। তবে আদালত সুনির্দিষ্ট দিন ধার্য  না করে আপিলটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন। বুধবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বাদী পক্ষে সাবেক বিচারপতি নজরুল ইসলাম  চৌধুরী ও  আপিলকারীদের পক্ষে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন শুনানি করেন ।

শুনানি নিয়ে আপিল বভিাগ বিষয়টি শুনআনির জন্য অপেক্ষমাণ রাখে। এখন আদালত  যেকোনো দিন আপিলের জন্য রায় ঘোষণা করতে পারে। তবে রায় ঘোষণার আগে বিষয়টি আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়।

মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, লতিফুর রহমানের মেয়ে স্কলাস্টিকা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী শাজনীন তাসনিম রহমান ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে গুলশানে নিজের বাড়িতে খুন হন। এই মামলায় ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী রহমতউল্লাহ শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে তাদের বাড়ির সংস্কার কাজের দায়িত্বে নিয়োজিত ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসানসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।

অপর পাঁচ আসামি হলেন- গৃহ পরিচারক শহীদুল ইসলাম (শহীদ), হাসানের সহকারী বাদল, গৃহপরিচারিকা দুই বোন এস্তেমা খাতুন (মিনু) ও পারভীন এবং কাঠমিস্ত্রি শনিরাম মণ্ডল। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) ওই বছরই হাই কোর্টে আসে।দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন।

ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০০৬ সালের ১০ জুলাই হাই কোর্ট মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হাসান, শহীদ, বাদল, মিনু ও পারভীনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখে। ফাঁসির আদেশ পাওয়া অপর আসামি শনিরাম মণ্ডল খালাস পান।

হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা চার আসামি মইনুদ্দিন হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীন। ২০০৯ সালের ২৬ এপ্রিল এই চার আসামির লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অপর আসামি শহীদুল জেল আপিল করেন। সাত বছর পর ২৯ মার্চ আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়ে বুধবার শেষ হয়।