শরীরে স্প্রিন্টার-লাঠিপেটার চিহ্ন-হলি আর্টিজানের কর্মী জাকির মারা গেছেন
স্টাফ রিপোর্টার : সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁর সহকারী বাবুচি জাকির হোসেন শাওন মারা গেছেন।শুক্রবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র আইসিইউতে তিনি মারা যান।আইসিইউ প্রধান অধ্যাপক ডা. আবদুর রহমান জাকিরের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন।ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সেন্টু চন্দ্র দাশ জানান, বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে আইসিইউতে মারা যান জাকির।
আইসিইউতে কর্তব্যরত চিকিৎসক পিযুষ কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, জাকিরের গায়ে স্প্রিন্টার ও লাঠিপেটার চিহ্ন রয়েছে।জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন জাকিরের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. বাচ্চু মিয়া জানান, জাকিরকে হাসপাতালের চারতলার ১৫ নম্বর আইসিইউতে রাখা হয়।
এদিকে জাকিরকে আইসিইউতে নেয়ার পর তার বাবা আবদুস সাত্তার ও মা মাসুদা বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা দাবি করেন জাকির মারা গেছেন। তবে ওই সময় তাদের দাবি নাকচ করে দেন পুলিশ ও চিকিৎসকরা।
গত ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা ১৭ বিদেশীসহ ২০ জিম্মিকে হত্যা করে।পরদিন সকালে সেখানে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কমান্ডো অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ছয় হামলাকারী নিহত হয়। এছাড়া সেখান থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয় ১৩ জিম্মিকে।এদিকে রেস্তোরাঁ থেকে আহত অবস্থায় সহকারী বাবুর্চি জাকির হোসেন শাওনকে উদ্ধার করে আইনশৃংখলা বাহিনী। তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক রাখে পুলিশ।
হামলার পর থেকে নিখোঁজ জাকিরের সন্ধানে শনিবার সকালের পরে হলি আর্টিজানের সামনে উপস্থিত তার বাবা-মা। সাংবাদিকদের ক্যামেরায় তোলা ছবি দেখে ছেলেকে শনাক্ত করেন তারা।এরপর তারা জানতে পারেন জাকির পুলিশের কাছে আটক আছে। জঙ্গি হামলার বিষয়ে জানতে জাকিরকে মারধরা করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তার বাবা-মা। পরে জাকিরকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জাকিরের মা মাসুদা বেগম বলেন, ‘আমি পিঠা বানায়ে বিক্রি করি। জাকির আমারে মাসে চার হাজার টাকা দিত। ওর ছোট তিনজন ভাই আছে। ওদের বাবা আব্দুস সাত্তার আগে রিকশা চালাইত, এখন অক্ষম।’