শখ করে কোয়েল পালন করে লাখপতি মোতাহার
প্রিয়া রহমান : শখ পূরণ করতে মানুষ কতো কিছুই না করে। বিনিয়োগের পাশাপাশি শ্রম মেধা খরচ করে চাকুরি, ব্যবসা বাণিজ্য করে অর্থ উপার্জন করে। সেই উপার্জিত অর্থে পূরণ করে শখ। তবে ঘটনাটা যদি উল্টা হয়? যেমন ময়মনসিংহের ত্রিশালের মোতাহার হোসেন শখের বশে দেড় বছর আগে কয়েকটি কোয়েল পাখি কিনে বাড়িতে লালন পালন শুরু করেন।
অল্প সময়ের মধ্যে কোয়েল পালনের রীতিনীতি রপ্ত করে ফেলায় কোয়েলের প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে তার। একসময় বাণিজ্যিকভাবে কোয়েল পালন শুরু করেন তিনি। বর্তমানে ত্রিশাল পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের দরিরামপুর গ্রামে নিজ বাড়ির উঠানেই বাণিজ্যিকভাবে কোয়েল পালন করছে মোতাহার। তার এখান থেকে কোয়েল পাখি ও কোয়েলের ডিম সরবরাহ করা হয় রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত হোটেলে। যা থেকে বছরে আয় হয় প্রায় দশ লাখ টাকা।
মোতাহার জানালেন তার ল্যাপটপে ইন্টারনেটে মাধ্যমে ভারতের কোয়েল পাখি পালনে একটি তথ্য চিত্র দেখেন। এর পরই শখ করে বাড়িতে কয়েকটি কোয়েল পখি লালন পালন শুরু করেন। একসময় পাড়া প্রতিবেশিরা তার কাছে কোয়েল পাখির ডিম চেয়ে নিতেন।
একপর্যায়ে তিনি কোয়েল পালনে আগ্রহী হয়ে উঠেন এবং প্রায় ৫০০ কোয়েলের বাচ্চা সংগ্রহ করেন। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে প্রায় দুই হাজার কোয়েল তার ফার্মে লালন পালন হচ্ছে। এছাড়াও কিছুদিনের মধ্যে ডিম থেকে বাচ্চা উত্পাদনের পদ্ধত্তিও রপ্ত করে ফেলেন তিনি। নিজেই ইনকিউভেটর তৈরী করে ডিম থেকে বাচ্চা উত্পাদন করছেন।
প্রতিবেশী কামরুল ইসলাম জানান, শখ করে কোয়েল পাখি পালন করতে গিয়ে প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে খামারে রুপান্তর করেছেন মোতাহার। তাকে দেখে বাড়ির আঙ্গিনায় এধরনের ফার্ম তৈরি করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে অনেকেই।
উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ওয়াজির আহাম্মেদ লিমন জানান, কোয়েল পাখি ডিম পাড়ার সময়কাল থেকে ১৫/ ১৬ মাস পর্যন্ত একটানা ডিম দেয়। বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯ টার মধ্যে ডিম পাড়া শেষ করে। এর জন্য সহজেই স্বল্প বিনিয়োগ কোয়েল উত্পাদন করে অর্থ আয় করা সম্ভব।