লড়াই করেও ২৯৯ রানে পিছিয়ে টাইগাররা
স্পোর্টস রিপোর্টার : হায়দারাবাদে লড়াই করেও ২৯৯ রানে পিছিয়ে টাইগাররা। মুশফিকুর রহিম খেলছেন ১২৭ রানের অসাধারণ এক ইনিংসে লড়াইটা দুর্দান্ত করল বাংলাদেশ। ওদিকে সাকিবের ব্যাট থেকে এল ৮২, মেহেদী হাসান মিরাজের ৫১। কিন্তু তারপরও ভারতের ৬৮৭ রান থেকে ২৯৯ রানে পিছিয়ে থেকেই শেষ হলো বাংলাদেশের ইনিংস। বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গেছে ৩৮৮ রানে। বাংলাদেশকে ফলোঅন করাচ্ছে না ভারত। মধ্যাহ্নবিরতির আগেই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে গেছে বিরাট কোহলির দল।
ভারতের বিপক্ষে টেস্টে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস ইনিংস। ২০০০ সালের নভেম্বরে অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪০০ রানের ইনিংসটি এই তালিকার শীর্ষেই রয়ে গেল। তৃতীয় দিনের পাল্টা লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে আউট হলেন তিনিই। দলের বিপর্যয়ের মুখে ব্যাট হাতে নেমে তাঁর ১২৭ রানের ইনিংসটি সত্যিই বীরোচিত, অধিনায়কসুলভই।
২৬২ বলের এই ইনিংসে তিনি বাউন্ডারি মেরেছেন ১৬টি, ছক্কা ২টি। তাঁকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষের দিকে তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ কিংবা কামরুল ইসলামরাও ভালো সঙ্গ দিয়েছেন। সাকিবের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ১০৭ রানের জুটির পর সপ্তম উইকেটে মেহেদী মিরাজের সঙ্গে ৮৭ রানের জুটি বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছে। অষ্টম উইকেটে তাইজুলের সঙ্গে ১৭ কিংবা নবম উইকেটে তাসকিনের সঙ্গে ৩৯ রানের জুটি গড়ে ভারতকে ভালোভাবেই চোখ রাঙিয়েছে বাংলাদেশ।
চতুর্থ দিন সকালের চতুর্থ বলেই ভুবনেশ্বর কুমারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মিরাজ। আগের দিনের সংগ্রহের সঙ্গে তখনো কিছু যোগ করতে পারেনি বাংলাদেশ। মিরাজ আউট হওয়ার পর দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কার মধ্যেই তাইজুল ও তাসকিনকে সঙ্গে নিয়ে মুশফিক অলআউট হওয়ার আগে যোগ করেন আরও ৫৬ রান। এই ৫৬ রানের ৪৬-ই এসেছে বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে। তাইজুল ১০ রান করেন ৩৮ বল খেলে। তাসকিন ৩৫ বল খেলে করেন ৮ রান।
কামরুল রানের খাতা না খুলেই অপরাজিত থাকেন ১০ বল খেলে।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন নিজের ২৫০তম টেস্ট উইকেটটি পেয়ে গেলেন আজই। এটি টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম সময়ে ২৫০ উইকেট তুলে নেওয়ার কীর্তি। অশ্বিন নিজের ২৫০তম উইকেটটি নিয়ে গর্ব করবেনই। উইকেটটি যে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের। ৯৮ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন।
২ উইকেট নিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজাও। তবে ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার উমেশ যাদব। ৮৪ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন তিনি। একটি করে উইকেট ভুবনেশ্বর কুমার ও ইশান্ত শর্মার।