• শনিবার , ২৩ নভেম্বর ২০২৪

লিঙ্গ অসমতার বাস্তবতা বুঝল চীন


প্রকাশিত: ৫:৩৯ পিএম, ২ নভেম্বর ১৫ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬২ বার

china+babyদিনা করিম:    কয়েক দশক ধরে কঠোর ভাবে অনুসৃত এক সন্তান নীতি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি ।সিনহুয়া জানিয়েছে, দীর্ঘদিনের অনুসৃত এক সন্তান নীতি পরিহার করে দম্পতিদের দ্বিতীয় সন্তান নেয়ার অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীনের ক্ষমতসীন দল।

সীমিত সম্পদে অধিক জনসংখ্যার চাপ সামাল দিতে না পেরে ১৯৮০ সালে দম্পতিদের জন্য এক সন্তান নীতি ঘোষণা করে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটির তৎকালীন সরকার। ওই নীতির ফলে চীনের দম্পতিরা একটির বেশি শিশু জন্ম দিতে পারতেন না। কেউ একাধিক সন্তান জন্ম দিলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হতো।

অবশ্য চীনের বিস্ময়কর অর্থনৈতিক সাফল্যের জন্য চীনের ক্ষমতাসীনরা এই এক সন্তান নীতির প্রশংসা করলেও এর কুফল হিসেবে চীনে দেখা দেয় লিঙ্গ অসমতা। বয়স্ক জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি সেখানে দেখা দিয়েছে কর্মক্ষম জনশক্তির সঙ্কট। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ২০১৩ সালে এক সন্তান নীতির বেশ কিছু সংস্কার আনে কমি‍উনিস্ট পার্টি, তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওই সংস্কার যথেষ্ট হয়নি।

শেষ পর্যন্ত ওই নীতি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলো দেশটি।কমিউনিস্ট আমলে চীনের প্রথম আদমশুমারি হয় ১৯৫৩ সালে। সেখানে দেখা যায়, চীনের জনসংখ্যা তখন ৬০ কোটি। এর মধ্যে তার আগের চার বছরেই চীনের জনসংখ্যা বেড়েছে ১০ কোটি!
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মাও ইয়েনচু অধিক জন্মহার নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। তিনি বিষয়টি চীনের নেতা মাও সেতুং-এর কাছে তুলে ধরেন।

কিন্তু জন্মহার কমানোর বিষয়টি মাও সেতুং পছন্দ করেননি।কারণ তখন চীনে মনে করা হতো অধিক জনসংখ্যা মানে অধিক কর্মক্ষম মানুষ। সেজন্য তখন পরিবারগুলোকে বেশি সন্তান নিতে উৎসাহ দেয়া হতো।সেজন্য ইউয়েন ইউ-এর বাবা-মায়ের পাঁচ সন্তান ছিল। কিন্তু এখন ইউয়েন ইউ-এর এক সন্তান।এক সন্তান হবার কারণে অনেকেই বাড়তি যত্নে বেড়ে উঠেছে।তিনি বলেন “ কিভাবে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে পরিস্থিতি বদলে যায়!

যদি তখন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হতো তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের উপর এক সন্তান নীতি চাপানোর প্রয়োজন হতো না।এখন এক সন্তান হবার কারণে ইউয়েন ইউ-এর কন্যা অনেকটা স্বাবলম্বী। সে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে শিখেছে এবং কিভাবে বন্ধু তৈরি করতে হয় সেটিও সে জানে। তার মেয়ে স্বাধীন এবং পরিশ্রমী।একমাত্র সন্তান হবার কারণেই ইউয়েন ইউ-এর কন্যা এভাবে গড়ে উঠেছে।ইউয়েন ইউ বলেন, “আমার মেয়ে যেভাবে বেড়ে উঠেছে তাতে আমি খুশি। কিন্তু আমার ইচ্ছে হয় – যদি তাকে একটি ভাই-বোন দিতে পারতাম।